২০১৯ সালের এই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালে এসে লন্ডনে প্রতিটি খালি ঘর ভাড়া করতে আগ্রহী ভাড়াটিয়ার হার বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ। প্রপার্টি ওয়েবসাইট রাইটমুভ এই তথ্য দিয়েছে। চাহিদা ও জোগানের পার্থক্যের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ, খালি ঘরের সংখ্যা কম, কিন্তু আগ্রহী ভাড়াটিয়ার সংখ্যা বেশী। এর কারণে ঘরের ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। লন্ডনের ব্রমলি এলাকার বাসিন্দা শেরন এই মুহূর্তে তাঁর সন্তানকে নিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের ঘরে বসবাস করছেন। তিনি দুই বেডরুমের একটি ঘর খুঁজছেন। ব্রমলি এলাকায় এরকম একটি ঘরের মাসিক গড় ভাড়া ১৬৫৩ পাউন্ড। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এই ভাড়া ১৫ শতাংশ বেশী। সিঙ্গেল প্যারেন্ট হওয়ার কারণে ঘর খুঁজে পেতে আরও বেশী সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন শেরন।
শেরন তাঁর ১০ বছর বয়সের মেয়েকে নিয়ে বসবাসের জন্য এক বছরেরও বেশী সময় ধরে একটি ঘর খুঁজছেন।হাউজিং বিষয়ক চ্যারিটি সংস্থা শেল্টার জানিয়েছে, প্রতি ৫ পরিবারের মধ্যে প্রায় দুটি পরিবার শেরনের মতো পরিস্থিতির মধ্যে আছে। বাচ্চা থকলে তাদেরকে ঘর ভাড়া দেয়া হচ্ছেনা।শেরন জানিয়েছেন, তিনি এখন সাসেক্সে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন, সেখানে ঘরের ভাড়া কম।এদিকে লন্ডনের বাইরেও হাউজিং পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। লেস্টারের এক সিঙ্গেল মা দুই বছর যাবত তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন একটি এক বেডরুমের ঘরে। দুই সন্তানকে বিছানা দিয়ে তিনি ঘরের মেঝেতে ঘুমান।দুই বছরের কিছু বেশী সময় আগে কেটিকে এই এক বেডরুমের কাউন্সিল ফ্ল্যাটে থাকতে দেয়া হয়।ঘরের সমস্যা ছাড়াও রয়েছে এলাকার অসামাজিক কার্যকলাপ। এর কারণে অনেক সময় তাঁরা রাতে ঘুমাতে পারেন না; বাচ্চারা বাইরে খেলতে যেতে পারেনা।লেস্টারে এই মুহূর্তে ৫ হাজারের বেশী পরিবার নতুন বাসস্থানে যাওয়ার ওয়েইটিং লিস্টে আছেন। পুরো ইস্ট মিডল্যান্ডস অঞ্চলে এই সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশী। বিবিসি’র পক্ষ থেকে কেটি’র সর্বশেষ হাউজিং পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে গত সপ্তাহে লেস্টার কাউন্সিল জানায়, এনটি সোশাল বিহেভিয়ারের কারণে অগ্রাধিকার দিয়ে কেটিকে গত মঙ্গলবার নতুন একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেটির ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলেও এখনও হাজার হাজার পরিবার নতুন ঘরে স্থানান্তরের অপেক্ষায় আছেন।