ইংল্যান্ডে সোমবার থেকে ৬ জনের বেশি জমায়েত বেআইনী

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : আশঙ্কাজনকহারে বৃটেনে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, গত এক দিনে করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হলেও ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত হন ২ হাজার ৬শ ৫৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডে প্রতি ১ লাখে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এক সপ্তাহ আগে এই সংখ্যা ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।  এ কারণে দ্বিতীয় দফায় করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে ইংল্যান্ডে জাতীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও কঠোন আইন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার বিকেলে ডাউনিং স্ট্রীটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন আইন ঘোষণা করেন।

নতুন আইন অনুযায়ী, সোমবার থেকে ঘরে এবং বাইরে ছ’জনের বেশি জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর আইন লঙ্ঘনকারীকে ১শ পাউন্ড থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার পাউন্ড জরিমানা আরোপের পাশাপাশি গ্রেফতার করবে পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন আইন অনুযায়ী ৬ জনের বেশি মানুষ বাড়ি, পার্ক, পাব এবং রেস্টুরেন্টে এক সঙ্গে জমায়েত হতে পারবে না। তবে স্কুল, কর্মস্থল, বিয়ের অনুষ্ঠান, ফিউনারেল, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং দলীয় ক্রীড়া অনুষ্ঠান এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে। আর টেস্ট এন্ড ট্রেইসিংয়ের জন্যে আইন অনুযায়ী, রেস্টুরেন্ট এবং পাবে যাওয়ার সাথে সাথে মোবাইল নাম্বার সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবেন। সোমবার থেকে নতুন এই আইন শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে কার্যকর হবে।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে লকডাউন শিথিল করে পুনরায় কঠোর হওয়ার জন্যে দেশবাসীর কাছে ‘সরি’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, ৩০ বছরের নীচের বয়সীরা করোনা সংক্রমিত করছে ব্যাপাকভাবে।
এদিকে সরকারের প্রধান মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস উইটি সতর্ক করে বলেছেন, এখন থেকে আগামী বসন্ত পর্যন্ত খুব কঠিন সময় পার করতে হবে। তাই নতুন আইন এক দু সপ্তাহ নয় অন্তত মাসখানেক বহাল রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সরকারের নতুন এই আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার। সরকারকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হয়ে যথা সময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেতার আহ্বান জানান তিনি। টেস্ট এবং ট্রেইসিংয়ের ব্যাপারে সরকারকে আরো বেশি দায়িত্ববান হবার আহ্বান জানান স্যার কিয়ার স্টারমার।

Advertisement