ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তি বা অভিবাস আইন অনুযায়ী, ব্রিটেনে অবস্থানরত ইইউভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের আগামী ৩০ জুনের ভেতরে ব্রিটেনে অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে আবেদন করতে হবে বলে সময় সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে হোম অফিস। ইইউ স্যাটলমেন্ট স্কীমের এই সময় সীমা বাড়ানোর জন্যে হাইকোর্টের মাধ্যমে হোম অফিসকে প্রস্তাব দিয়েছিল দ্যা জয়েন্ট কাউন্সিল ফর দ্যা ওয়েলফেয়ার অব ইমিগ্রেশন সংক্ষেপে জেসিডাব্লিউআই।
জেসিডাব্লিউআই-এর আশঙ্কা, ৩০ জুনের ভেতরে আবেদনে ব্যর্থ হয়ে, পহেলা জুলাই থেকে আবেদন করলে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নাও মিলতে পাওে কিছু কিছু ইইউ নাগরিকের। ফলে অভিবাসন মর্যাদা হারিয়ে কারো কারো অবস্থায় উইন্ডরাশ জেনারেশনের মতো হতে পারে। চাকুরী, হোম, বেনিফিট, ড্রাইভিং লাইলেন্স ইত্যাদি হারিয়ে, তাদেরকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ডিটেনশনে নিয়ে ব্রিটেন থেকে বিদায় করা হতে পারে। যা আরো একটি উইন্ডরাশ জেনারেশনের জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা জেসিডাব্লিউআইয়ের। এই আশঙ্কা থেকেই ইইউএসএস’র সময় সীমা বাড়াতো হোম অফিসকে বাধ্য করার জন্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জেসিডাব্লিউআই।
কিন্তু হাইকোর্ট জেসিডাব্লিউআই’এর এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, প্রতিটি আবেদনের একটা ডেড লাইন বা সময়-সীমা বেধে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে এবং এটা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে। এদিকে শোনানিতে হোম অফিস বলেছে, ৩০শে জুনের ভেতরে আবেদন করতে না পারার যথাযথ কারণ দেখাতে পারলে হোম অফিস নিশ্চয় তাদেরকে নির্ধারিত একটা সময়ের ভেতরে আবেদনের সুযোগ দেবে। তবে এই সুযোগটি কতোদিন পর্যন্ত থাকবে এবং কিভাবে তা কার্যকর হবে তার বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করেনি হোম অফিস।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ভেতরে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে ইইউ নাগরিকদের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন আবেদন গ্রহণ করেছে হোম অফিস। এর মধ্যে ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন আবেদনকারী সফল হয়েছেন। এরমধ্যে ৫৪ শতাংশকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর ৪৩ শতাংশকে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
ইইউ স্যাটেলমেন্ট স্কীম : ৩০ জুনের ভেতরে আবেদন করতে ব্যর্থ হলে ভাগ্য অনিশ্চিত
Advertisement