ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনা ভাইরাস নিয়ে যেখানে পুরো ইউরোপ একটি দুর্যোগকালীন সময় পার করছে এবং ইউরোপের অনেক দেশ যেখানে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে এ করোনা ভাইরাসের ধাক্কাকে সামাল দিতে ঠিক এ রকম সময়ের মধ্য ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়াতে নেমে এলো আরও এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ক্রোয়েশিয়াসহ আশেপাশের দেশ যেমন বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া এবং স্লোভেনিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি মানের এক ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৪ এর কাছাকাছি।
এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেব থেকে ৫.৮ মাইল উত্তরে। এ ভূকম্পনের ফলে ক্রোয়েশিয়ার বেশ কিছু স্থানে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ভূমিকম্পের ফলে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে এবং একইসঙ্গে দেয়াল ধস ও বেশ কিছু যানবাহনের ক্ষয়-ক্ষতির খবরও এ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
এমনকি জাগরেবের বিখ্যাত ক্যাথেড্রালের দুইটি চূড়া এ ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পড়েছে। এছাড়াও ক্রোয়েশিয়ার বেশ কিছু গণমাধ্যমে এ ভূকম্পনের ফলে পনেরো বছর বয়সী একজনের মৃত্যুর খবরও প্রকাশিত হয়েছে এবং কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
যদিও ক্রোয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু বলা হয়নি এ বিষয়ে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ক্রোয়েশিয়াও অনেকটাই লক ডাউন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পাবলিক প্লেসগুলোতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে একসাথে পাঁচজনের অধিক মানুষের সমাগম না হওয়ার জন্য দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিজের বাড়িতে বসেই অনেকে তাই এ ভূমিকম্পের ফলে আশেপাশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা নিজের বাসার ভেঙ্গে যাওয়া গ্লাস অথবা বিভিন্ন ধরণের শেলফের ছবি অথবা ভিডিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
ভূমিকম্পের ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাময়িক সময়ের জন্য এবং একইসঙ্গে কিছু এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবরও শোনা গিয়েছে।
৫.৪ মাত্রার এ ভূমিকম্পের পাশাপাশি ক্রোয়েশিয়াতে মৃদু মানের আরও দুইটি ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্পের ফলে ক্রোয়েশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র যেমন স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া কিংবা বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনার অনেক আতঙ্ক বিরাজ করছে।