ইতালি থেকে এমডি রিয়াজ হোসেন : ইতালিতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসীরা। এ বছর সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ঈদের জামাতে উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষনীয়। ভোর ৬টা থেকে ঈদগায়ে আসতে থাকে প্রবাসীরা। ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে একজন আর একজনের সাথে কোলাকুলি করেন। রোমের প্রায় একশটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইতালীতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার পিয়েচ্ছা ভিত্তোরিতে পার্কের ভিতরে বাংলাদেশ সমিতির তত্বাবধানে ঈদ উদযাপন কমিটির আয়োজনে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন। এ সময় সাংবাদিকদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জি এম কিবরিয়া, কে এম লোকমান হোসেন, ইতালী আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী আহম্মদ ঢালী, ঈদ উদযাপন কমিটির আহবায়ক , ইতালী বিএনপির সভাপতি আঃ রাজাক, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আঃ রব ফকির। পার্কের পাশেই ধুমকেতুর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ধুমকেতুর প্রতিষ্ঠাতা নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইমদাদুল হক মৃধা, ইতালী বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ তাইফুর রহমান ছোটন। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি ও উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এছাড়া ইতালির বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানে বাংলাদেশি কমিউনিটি পরিচালিত পাঁচটি মসজিদে তিনটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ভেনিস, নাপলি, পালেরমো, বলোনিয়া, ভারেজ, গালারাতে, ভিসেন্সা, বারী, মোনছা শহরগুলোতেও বাঙ্গালি কমিউনিটির তত্ত্বাবধানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা নামাজ আদায় করে একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
ইতালিতে সরকারি হিসাব মতে বসবাসকারী মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এদের অধিকাংশই অভিবাসী। তার বিপরীতে সরকারি তালিকাভুক্ত মসজিদের সংখ্যা মাত্র আটটি। এছাড়াও গাড়ি রাখার গ্যারেজ, পরিক্ত্যক্ত ভবন ভাড়া নিয়ে ইতালিতে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায় নামাজের স্থান হিসাবে ব্যবহার করে। যার সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি।