ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ইতালিতে করোনাভাইসের ভয়াবহ তাণ্ডব সরকারের কোনো পদক্ষেপেই থামাতে পরেছে না। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনার তাণ্ডবে পুরো দেশ যেখানে অচল, সেখানে রেড জোনের আওতাভুক্ত ঘোষণার তৃতীয় দিনেও রেকডসংখ্যক ২৬৫১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে গত ২৪ ফগন্তায় মারা গেছে আরো ১৮৯ জন। যা বিশ্বের আক্রান্ত ১২৫টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে পুরো ইতালি ছিল অবরুদ্ধ ও নিস্তব্ধ। ফার্মেসি, সুপার সপ-আলিমেন্টারি ও ব্যাংক ছাড়া কোনো দেকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল না। দেশব্যাপী সুনশান নিরবতা, নেই কোনো কোলাহল-কর্মব্যস্ততা। পরিবহনে নেই কোনো যাত্রী। রাস্তাঘাট একেবারে জন-মানবশূন্য।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইতালিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আনুপাতিক ১৭ থেকে শতাংশ হারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যার মোট সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫,১১৩ জন। তবে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মৃত্যুহার। বিশ্বে যেখানে করোনাভাইরাসের রোগীর মৃত্যু হার ৩ ভাগেরও কম, সেখানে ইতালিতে মৃত্যু হার ১৫ ভাগেরও বেশি ১,০১৬ জন।
অপরদিকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১,২৫৮ জন যা আনুপাতিক হারে প্রায় ১৭। বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে ইতালির চিত্র এখানেই ভয়াবহ বিপরীতমুখী। আর এটিই ভাবিয়ে তুলেছে ইতালি সরকারসহ সকলকে। দু’দিনের ব্যবধানে দু’বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পরও করোনার লাগাম টেনে ধরতে পারছে না সরকার।
একই সাথে করোনার ছোবলে ইতালির অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে মিলান স্টক স্টেঞ্জে (২৯) শতাংশেরও কিছু বেশি ধ্বস নেমেছে। অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধিতেও ১৫ শতাংশের বেশি কমবে বলে ধারনা করছে সরকার। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সীমিত হয়ে গেছে। কয়েক হাজার ট্রেন টিকেট ও ফ্লাইট বাতিল করা হয়ে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অষ্টম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ ইতালির সবমিলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।