ফেরিতে পা ফেলার জায়গা নেই,তারপরও ঠাসাঠাসি করে উঠে পড়ছে ঘরমুখো মানুষ।করোনা বা লকডাউন কোনকিছুই তাদের সামনে বাধা হয়ে আসতে পারছে না।যতই কষ্ট হোক,যেতেই হবে বাড়ি, আর ঈদ পালন করতে হবে প্রিয়জনদের সাথে।বৃহস্পতিবারও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের পারাপার অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই সকাল থেকে হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে জড়ো হচ্ছেন।
এদিকে পরিবহন পারাপারের ঘোষণায় বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন। ঈদযাত্রার পথে শিমুলিয়া থেকে গাদাগাদি করে ফেরিতে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে বুধবার ভিড়ের চাপে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু ঘটে। এরই পরিবহন পারাপারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যার ফলে ঘাটে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি।অন্যদিকে ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে বিজিবি।ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের ঘাটে আসতে নিরুৎসাহিত করা হলেও কিছুই শুনছেন না তারা। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে ঘাট এলাকায় নিয়মিত মাইকিং করা হলেও যাত্রীরা তা আমলে নিচ্ছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানা দূর থাক অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্কও নেই।বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শাফায়েত আহমেদ বলেন, সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে, তবে সেটা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। যাত্রীদের চাপ সকালে কিছুটা কম থাকলেও হয়তো বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়বে। বর্তমানে ১৩টি ফেরি দিয়ে যাত্রী-যানবাহন পারাপার চলছে।