ইনার নর্থ লন্ডন করোনার ম্যারি হ্যাসলকে বিদায় করতে ক্যাম্পেইনে নামুন (ভিডিও আছে)

                                              ।। কামাল মেহেদী।।
ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়ামের প্রধান করোনার ম্যারি হ্যাসলের পদত্যাগের দাবী করেছে জুইশ কমিউনিটি। একই দাবী করেছেন কেমডেনের কাউন্সিলর আব্দুল হাইও। ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়াম টাওয়ার হ্যামলেটস, কেমডেন, হেকনি এবং ইজলিংটনের করোনার সার্ভিসের দায়িত্ব পালন করে। এই চার বারায় প্রায় ৭শ হাজারের বেশি মুসলিম এবং জুইশ কমিউনিটির মানুষ বসবাস করেন। ইনার নর্থে ২৪ ঘন্টা সার্ভিস চালুসহ ধর্মীয় রীতি বা কালচারকে প্রাধান্য দিয়ে মুসলিম এবং জুইশ কমিউনিটির জন্যে একটি গাইড লাইনের অনুমোদন দিয়েছে মিনিষ্ট্রি অব জাস্টিস। অভিযোগ হল, প্রধান করোনার ম্যারি হ্যাসল সেই গাইড লাইন উপেক্ষা করছেন। এই গাইড লাইনের জন্যে দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর ধরে ক্যাম্পেইন চলছে। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছে কেমডেন কাউন্সিল।

(২০১৩ সালে হারুন কাজীর সাক্ষাতকারসহ চ্যানেল এসে আমার রিপোর্ট দেখতে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন:


২০১৩ সালের এপ্রিলে কেমডেনের বাসিন্দা হারুন কাজী তার বাবার মরদেহ নিয়ে করোনার সার্ভিসের দীর্ঘসুত্রিতার মুখে পড়েন। প্রায় ৬দিন পরে মরদেহ পান তিনি। মূলত এই ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তারো পরে একই বছরের জুলাই থেকে শুরু হয় ক্যাম্পেইন।
মুসলিম এবং জুইশ ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, মৃতের পর যতোদ্রুত সম্ভব দাফন করার কথা থাকলেও কেমডেন, ইজলিংটন, হেকনি এবং টাওয়ার হ্যামলেটসের মুসলিম কমিউনিটির অভিজ্ঞতা ভিন্ন। এই চারবারায় মুসলিম এবং জুইশ জনসংখ্যা প্রায় ৭শ হাজারের বেশি। কিন্তু এখানে ২৪ ঘন্টার করোনার সার্ভিস নেই। এমনকি ধর্মীয় মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। এরপর ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের ৮শ বছরের পুরনো করোনার সার্ভিসের রিভিউর দাবীতে ক্যাম্পেইন শুরু করেন কেমডেনের কাউন্সিলর আব্দুল হাই।
এরপর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বর্তমান ও সাবেক জাস্টিস সেক্রেটারী এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চীফ করোনারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ইস্যুটি নিয়ে স্বাক্ষাৎ করেন কাউন্সিলর হাই। ৮শ হাজার বছরের আইন পরিবর্তনে বেশ জঠিলতা আছে। তাই স্থানীয়দের সুবিধার কথা বিবেচনা করে একটি করোনার সার্ভিস গাইড লাইন তৈরীর পরামর্শ দেন তারা। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কেমডেন কাউন্সিল থেকে একটি গাইড লাইন জমাও দেওয়া হয়। ২৪ ঘন্টা করোনার সার্ভিস চালু এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই চার বারার মুসলিম এবং জুইশ কমিউনিটির জন্যে একটি গাইড লাইনের প্রতি সমর্থন জানায় জাস্টিস মিনিষ্ট্রি এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চীফ করোরান। তবে ইনার নর্থ লন্ডনের প্রধান করোনার তা মানছেন না বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর হাই।


কাউন্সিলর হাই আরো জানান, ২৪ ঘন্টা সার্ভিস চালুর জন্যে অতিরিক্ত প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার পাউন্ড মাসে ব্যয় হবে বলে আনুমানিক হিসেবে করে সেই অতিরিক্ত অর্থও চার বারার পক্ষ থেকে দেওয়ার জন্যে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রধান করোনার ম্যারি হ্যাসল ২৪ ঘন্টার সার্ভিস চালুর জন্যে অন্য শর্ত জুড়ে দিয়েছেন বলে জানান কাউন্সিলর হাই। ইনার নর্থ লন্ডন করোনারের বর্তমানে দুটি অফিস রয়েছে। একটি টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলারে এবং অন্যটি কেমডেনে। প্রধান করোনার ম্যারি হ্যাসল দাবী করে বসে আছেন, তিনি ২৪ ঘন্টা সার্ভিস চালু করবেন। তবে তার জন্যে বিশাল একটি অফিস দিতে হবে। দুই অফিস একত্র করে বিশাল অফিস করতে অন্তত ৫ থেকে ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রয়োজন বলে জানান কাউন্সিলর হাই। চার কাউন্সিল থেকে হিসেব করে এই ধারণা পাওয়া গেছে। এ কারণে সরকারের মিনিষ্ট্রি অব জাস্টিস এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চীফ করোনারের সমর্থন থাকার পরেও ২৪ ঘন্টার করোনার সার্ভিস চালু হচ্ছে না ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়ামে।
অন্যদিকে ধর্মীয় এবং সংস্কৃতি মূল্যবোধকে উপেক্ষা করছেন প্রধান করোনার উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ আছে। ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে সরকারী গাইড লাইনে একদম স্বচ্ছ বার্তা দেওয়া আছে। এটি যে কোনো মানুষের মৌলিক অধিকারও। কিন্তু ইনার নর্থ লন্ডন করোনার সার্ভিসের প্রধান ম্যারি হ্যাসল তাও মানছেন না বলে অভিযোগ আছে। তিনি আগে আসলে আগে পাবেন অর্থাৎ ফার্স্ট কাম ফার্স্ট ভিত্তিতে করোনার সার্ভিস দিতে চান। প্রধান করোনার ম্যারি হ্যাসলের সঙ্গে এসব নিয়ে কাউন্সিলর হাই এবং মুসলিম ও জুইশ কমিউনিটি লড়াই করে আসছে তিনি এখানে নিয়োগ পেয়ে আসার পর থেকেই।
এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। একই বছর ম্যারি হ্যাসল ইনার নর্থ লন্ডন করোনার সার্ভিসের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি কার্ডিফে ছিলেন বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেই আইনী লড়াই হয়েছে। এবার আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি সরাসরি তার পদত্যাগের দাবী উঠেছে।

ম্যারি হ্যাসলের পদত্যাগের দাবীতে চ্যানেল এসে করা সাম্প্রতিক রিপোর্ট দেখতে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন :

গত ক্রিসমাসে একটি জুইশ মরদেহের ছাড়ের ক্ষেত্রে সরকারী গাইড লাইন বা ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করায়/ প্রধান করোনার ম্যারি হ্যাসলের পদত্যাগ দাবী করেছে জুইশ কমিউনিটি। এছাড়া আবারো আইনি লড়াইয়ে যাবার প্রস্তুতি চলছে। ম্যারি হ্যাসলের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি জিডিশিয়াল রিভিউতে আইনী লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন সলিসিটর ট্রেভর এসারসেন। তিনি জানালেন, এবারো তিনি জুইশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে জুডিশিয়াল রিভিউতে যাবেন এবং এবারো তিনি জিতে আসবেন বলে দৃঢ় আশাবাদি। কারণ মাল্টিকালচার সোসাইটির লন্ডনে ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে করোনার সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করা সবার প্রত্যেক ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মৌলিক অধিকার। এর ব্যতিক্রম হলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় বলে মনে করেন তিনি। মানবাধিকার আইনের গ্রাউন্ড থেকেই তিনি আইনী লড়াইয়ে যাবেন।
এর আগে করোনার ম্যারি হ্যাসলের বিরুদ্ধে আরো দুটি জুডিশিয়াল রিভিউতে সলিসিটর ট্রেভর প্রতিনিধিত্ব করেন। এরমধ্যে একটি ছিল এক মুসলিম পরিবারের পক্ষ থেকে। শুধু জুডিশিয়াল রিভিউ নয়, বর্তমান করোনার ম্যারি হ্যাসলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ইনজাংশনও আনা হয়েছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ম্যারি হ্যাসলের আইনী লড়াইয়ে অর্থ কিন্তু সব চার কাউন্সিলকে পরিশোধ করতে হয়। দুটি জুডিশিয়াল রিভিউতেই প্রায় সাড়ে ৫শ হাজার পাউন্ড পাবলিক মানি গচ্ছা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রিস্টমাসের পর থেকে চলা এই বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়েও উঠেছে। ইনার নর্থ লন্ডনে করোনার সার্ভিসের ক্ষেত্রে ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারী গাইন লাইন মানতে গত সপ্তাহেও পার্লামেন্টে নিশ্চিত করেন জাস্টিস সেক্রেটারী।
গার্ডেন অফ পিসের ডাইরেক্টর আহমেদ ওমর জানালেন, প্রধান করোনারের একগুয়েমীর ফলে দাফন সম্পন্নের ক্ষেত্রে প্রায়ই বিপাকে পড়েন মুসলিম কমিউনিটির মানুষও।
সরকারী গাইড লাইন এবং স্থানীয়দের দাবী উপেক্ষার বিরুদ্ধে আর কতো লড়াই হবে? ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ৮শ বছরের করোনার আইন রিভিউর ক্যাম্পেইন পেছনে রেখে ২০১৩ সাল থেকে ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়ামের করোনার অফিসারের বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াই করতে হচ্ছে ক্যাম্পেইনারদের। তাই এবার দাবী উঠেছে পদত্যাগের। ম্যারি হ্যাসলের পদত্যাগ চান জুইশ কমিউনিটির মানুষ, পদত্যাগ চান কাউন্সিলর আব্দুল হাই, পদত্যাগ চান গার্ডেন অব পিসের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ ওমর।
সমস্যা হল করোনার অফিসারদের বেতন দেয় স্থানীয় কাউন্সিল কিন্তু তাদের জবাবদিহীতা হল মিনিষ্ট্রি অব জাস্টিসের। স্থানীয় কাউন্সিল করোনার অফিসারদের চাকুরী বাতিলও করতে পারবে না আবার দিতেও পারবে না। তাই ইস্যুটি নিয়ে পার্লামেন্টে কথা বলতে হবে। পার্লামেন্টে কথা বলার জন্যে স্থানীয় এমপিদের কাছে লবিং করতে হবে মুসলিম ও জুইশ কমিউনিটিকে। ইংল্যান্ড বা ওয়েলসের প্রায় সব এলাকায় চব্বিশ ঘন্টার সার্বিস আছে শুধু ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়াম তথা টাওয়ার হ্যামলেটস, কেমডেন, হেকনি এবং ইজলিংটনে নেই। অথচ এই চার বারাতে মুসলিম এবং জুইশ জনসংখ্যা প্রায় ৭শ হাজারের বেশি। চব্বিশ ঘন্টা সার্ভিসের জন্যে কাউন্সিলগুলো অতিরিক্ত অর্থ দিতেও রাজি। আর ধর্মীয় মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিতে সরকারও গাইড লাইন দিয়েছে। তাহলে চব্বিশ ঘন্টার সার্ভিস চালু করতে আর সরকারী গাইন লাইন মানতে অসুবিধা কোথায়? না মানলে এখান থেকে বিদায় হোন। ইনার নর্থ লন্ডন করোনার ম্যারি হ্যাসলকে বিদায় করতে ক্যাম্পেইনে নামুন।

নীচের চিঠিটি কপি করে নাম ঠিকানা লিখে আপনার লোকাল এমপির কাছে পাঠাতে পারেন:

Dear Sir/Madam,

Inflexible, Intractable and Inadequate Coroner Service

 

I am writing to you to complain about the conduct of Ms Mary Hassell (“MH“), the Senior Coroner for Inner North London, in connection with her conduct towards the Muslim community in North London.

I am concerned about her conduct, because of my religious faith, and the impact her actions have on my right and the right of other members of the Muslim community to freely practice that faith.

According to the Muslim faith it is an important principle that a dead person should be buried as soon as possible after death, and ideally the day of death.

It is therefore customary amongst the Muslim Community to make every effort to expedite the burial. The suffering and anguish caused by a delay in burial are hard to adequately express in writing, but it is widely and deeply felt.

Over the past four and a half years, bereaved relatives of deaths in the North and Inner London areas have been subjected to increased bureaucracy and difficulties. Unlike previous coroners or fellow coroners now in all other areas, the coroners’ office covering Camden, Hackney, Islington & Tower Hamlets, which also includes several major hospitals treating patients from further areas, MH has steadily and incrementally imposed rules and inflexible procedures primarily designed to benefit her and her staff while effectively reducing their service to the public.

1) MH’s first awkward decree was to strictly cease all availability over weekends or outside strict office hours, which obviously increased regular delays and frustration. Recent newspaper reports confirm incredible delays and frustrations, which were only resolved by outside interventions!

2) MH shows less regard for ethnic or religious sensitivities than previous or other coroners, and many of her imposed rules, bureaucracy, inflexibility and unnecessary delays offend traditional and/or religious practices and periodically force ethnic groups into legal challenges to protect many hitherto assumed civil and religious rights. Other coroner offices, knowing of some religious obligations for prompt burials, demonstrate flexibility inprioritizing these where possible but MH’s office seems to make a habit of delaying them, notwithstanding that she knows this causes immense anguish and trauma for relatives. Indeed in a letter dated 30 October 2017 addressed to Asserson Law Office MH wrote, “No death will be prioritized in any way over any other because of the religion of the deceased or family“.

3) In 2015, MH lost a judicial review when she insisted that a religious woman have an invasive autopsy, against her family’s wishes. In losing the court case MH was ordered to pay 90% of the family’s legal costs and presumably also paid the costs of instructing her own lawyers to fight the case.Those bills, estimated at over £200,000, was paid by council taxpayers in North and East London. This is in addition to other legal costs incurred by the taxpayers for various injunctions in recent years.

4) In 2016, MH was formally reprimanded by the Judicial Conduct Investigations Office for publicising a letter in which she alleged that she was being bullied by a religious community.

5) We live in a country that prides itself on its diversity and multi-culturalism. According to the Human Rights Act every individual has the right to practice their religion freely. However, when it comes to the religious rights of Muslims to be buried according to their custom and tradition, that right is deliberately not upheld, by the conduct of MH.

 

For all these, and other reasons, I am left with no other choice but to ask that this problem be removed from our sensitive area and for the Coroner Service to be reinstated to its previous status of helpful, amenableand flexible service as available everywhere else in orderto bring a halt to MH’s constant breach of the law and for the service againto serve the needs of the community.

Yours faithfully,

Advertisement