ইরান, ইরাকে খতিব হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত কমপক্ষে ২৫

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলায় একজন মার্কিন বেসামরিক কন্ট্রাক্টর নিহত হওয়ার দু’দিন পরে ইরাক ও সিরিয়ায় খতিব হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষামূলক হামলা’ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। রোববারের ওই হামলাকে ইরাক তার দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। ইরাকের নিরাপত্তা ও মিলিশিয়া সূত্রগুলো বলেছে, ইরাকে মার্কিন ওই হামলায় কমপক্ষে ২৫ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫ জন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। সূত্রগুলো বলেছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন খতিব হিজবুল্লাহর কমপক্ষে চার জন কমান্ডার। সিরিয়া সীমান্তে আল কাইম জেলায় ইরান সমর্থিত গ্রুপটির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র জনাথন হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরাকে সামরিক ঘাঁটি যা অপারেশন ইনহেয়ারেন্ট রিজলভ জোট বাহিনীর হোস্ট, সেখানে খতিব হিজবুল্লাহর বার বার হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ওই আত্মরক্ষামুলক হামলা চালিয়েছে।

ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের ৫টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে খতিব হিজবুল্লাহর আরো হামলা চালানোর সক্ষমতা কমে যাবে। এসব টার্গেটের মধ্যে ছিল ইরাকে তিনটি ও সিরিয়াতে দুটি স্থাপনা।

এ হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইরানের সমর্থন আছে, এমন কোনো অভিযানে যদি মার্কিন নারী-পুরুষরা ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে ইরানের সঙ্গে ওই অবস্থানে থাকতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে খতিব হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে হামলাকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি অ্যাকশনে যেতে পারে।

শুক্রবারের রকেট হামলার জন্য খতিব হিজবুল্লাহকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় মার্কিন একজন বেসামরিক কন্ট্রাক্টর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভিসে থাকা চারজন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ইরাকি নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের দুজন। ওই অঞ্চল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং ‘ওয়ারিয়রস অব ইসলাম: ইরানস রেভুল্যুশনারি গার্ড’ বইয়ের লেখক কেনেথ কাটজম্যান এ বিষয়ে বলেন, এখন দেখার বিষয় ইরান ও ইরাক সরকারের প্রতিক্রিয়া কি হয়। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ইরাকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলা ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এর ফলে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবেল আবদেল মাহদি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই অভিযান ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

Advertisement