ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের পেছনে দলের নেতাদের সন্দেহ করে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিএনপির পাঠানো চিঠির জবাব দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।তিন দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হলেও পাঁচ দিনের মাথায় এসে চিঠির জবাব দিলেন তিনি।চিঠিতে মির্জা আব্বাস নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় কী লিখেছেন সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। চিঠির বিষয়ে তিনি জানান বলেন, আমাকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আজ আমিও তার কাছে চিঠির জবাব পাঠিয়ে দিয়েছি।সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চিঠির মাধ্যমে জবাব পাঠিয়েছেন তিনি। তার দেওয়া জবাবে দলের হাইকমান্ড সন্তুষ্ট হয়েছে কি না জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি কীভাবে বলব সন্তুষ্ট হয়েছে কি না। কারণ, এই বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মির্জা আব্বাসের পাঠানোর চিঠিটি দলের মহাসচিবের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় চিঠিটি পৌঁছে দেন তিনি। এ বিষয়ে প্রিন্স জানান বলেন, মির্জা আব্বাস আমাকে চিঠিটি পৌঁছে দিতে দিয়েছিলেন। আমি সেটি দিয়েছি। চিঠিতে তিনি কী লিখেছেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।১৭ এপ্রিল দুপুরে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলন-ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইলিয়াস আলী গুমের পেছনে আমাদের দলের যে বদমাশগুলো রয়েছে তাদেরকেও চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করেন প্লিজ। এদেরকে অনেকেই চেনেন। ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। ইলিয়াস খুব গালিগালাজ করেছিলেন তাকে। সেই বিষধর সাপগুলো এখনও আমাদের দলে রয়ে গেছে। যদি এদেরকে দল থেকে বিতাড়িত করতে না পারি, সামনে যাওয়া যাবে না।অবশ্য পরদিন সুর পাল্টিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কাটপিস করে ইচ্ছেমতো আমার বক্তব্যকে ব্যবহার করা হয়েছে। কী কারণে করা হয়েছে আমি জানি না। এমন কোনো কথা বলিনি, যার জন্য আমাকে বিব্রত হতে হবে। সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে গুম করেনি- এমন কথা আমি বলিনি। আমার কথা বিকৃত করে লেখা হয়েছে।’