‘ইসির দিকে তাকিয়ে দেশবাসী’

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে দেশবাসী আগামী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচনের দিন ঘিরে শঙ্কা রয়েছে। পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে থাকতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নই। ইভিএম-এর বিষয়টা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা আছে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপর নির্ভর করে নিবার্চন কেমন হবে।

তিনি বলেন, দেশ সংকটে আছে।

আমরা সকলে বিভক্ত হয়ে গেছি। জনগণের সমস্যা সমাধানে ঐক্য প্রয়োজন। মেয়রের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তাবিথ। এ সময় তিনি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেন।

প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, নির্বাচন নিয়ে সব শংকা কেটে গেছে, আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আশা করি, ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। প্রার্থীরাও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন বলে আশা করি।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন হাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদ মো. শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিএনপি তার অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পরে তাবিথ আউয়াল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড পেতে কাজ করছেন। গণমাধ্যমের ওপর আস্থা আগেও ছিলো, এখনও আছে। এবারের প্রচারের সময় ৬ জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি আমার সমবেদনা। আমরা আশা করছি, নির্বাচনের দিনে কোন সংবাদ কর্মী আহত বা বাধার শিকার হবেন না। ভোটারদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আমাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আমরা ভোট গণনা পর্যন্ত মাঠে থাকবো, ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলে ভোট চুরি করা সম্ভব হবে না। ভোট দিয়ে ভোট চুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি চায়, জনগণের ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আমাদের আশঙ্কার জায়গা নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে। ইতিমধ্যে আমাদের সুনিদিষ্ট ১০৪টি অভিযোগ আমলে না নিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন। তাদের ইভিএম পরিচালনার সক্ষমতা নেই, তাই সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর থেকে জনবল নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে প্রভাবিত করছে। নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে। যেন তারা কোন ব্যক্তিকে এলাউ না করেন, নির্বাচনকে বান চাল করতে না পারে।

তাবিথ আউয়াল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্যায়ভাবে রাখা হয়েছে। ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, সাবেক সহ সভাপতি আবু দারতা জোবায়ের, ঐক্যফ্রন্ট দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

Advertisement