একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন সমাপ্ত

একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে।স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পাঠ করার মধ্য দিয়ে এ অধিবেশন শেষ হয়।শেষ দিনে আজ নিয়ম অনুযায়ী সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপনি ভাষণ দেন।এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদও সমাপনি বক্তৃতা করেন।সংক্ষিপ্ততম এ অধিবেশনের ৩ কার্যদিবসে মোট ৫টি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

এ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৪৪টি নোটিশ পাওয়া যায়। এ অধিবেশনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য মোট ১০৯৯টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৬৩টি প্রশ্ন সম্পর্কে মন্ত্রীগণ সংসদে উত্তর প্রদান করেছেন। এছাড়া বিল সম্পর্কিত ১টি স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট ও ৩টি স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপিত হয়। এছাড়া, সরকারি কর্ম কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২০, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯-২০, দুর্নীতি দমন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯, বাজেট ২০২০-২১: দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়।
এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) বঙ্গবন্ধু-মুক্তিফৌজ কর্তৃক অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ অধিবেশন কক্ষে প্রচার ও প্রদর্শন করা হয়।রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিক দিক নির্দেশনা, গতিশীল নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে আনার জন্য স্পিকার সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানান।সফলতার সাথে বিরোধীদলকে নেতৃত্ব দেয়াসহ সংসদ কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন আনয়নের জন্য বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকেও তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।সংসদ পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের জন্য ডেপুটি স্পিকার, সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, চিফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ এবং সকল সংসদ-সদস্যগণের প্রতিও তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি বিরোধী দলীয় উপনেতা ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যগণকেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

এছাড়া ডেপুটি স্পিকার, স্থায়ী কমিটির সভাপতিমন্ডলী, সংসদ সদস্যবৃন্দকে তাঁদের সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।স্পিকার সমাপনি ভাষণে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়শীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

Advertisement