এক সময়ের তুখোড় সাংবাদিক এমএফ আলী ফয়েজ দির্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সাংবাদিকতা পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবন-যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন তিনি।
পরিশ্রমী এ সাংবাদিক শারীরিক এখন অসুস্থতার কারণে পর্যুদস্ত। ঘরেই সময় কাটছে দু:খে-কষ্টে ভরা জীবনগাঁথা প্রবীণ এই সাংবাদিকের। সাংবাদিক এম এফ আলী ফয়েজ দৈনিক সিলেটের ডাকের ওসমানী প্রতিনিধি হিসেবে দির্ঘ দিন কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি বহুল প্রচারিত একাধিক জাতীয়, স্থানীয় ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতিও ছিলেন। এছাড়া বিগত দিনে অাওয়ামীলীগ দলীয় কয়েক জন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত প্রেস সচিব হিসেবেও তিনি দক্ষতা ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অসুস্থ হওয়ার পর প্রবাসে অবস্থানরত বন্ধু-শুভাকাঙ্খি ও হৃদয়বান ব্যক্তিরা তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের দেয়া অনুদানে চিকিৎসা করিয়ে তিনি কোনো রকম বেঁচে আছেন। আশায় বুক বেঁধে ছিলেন সুস্থ হবেন, নিজ কর্মে ফিরবেন। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় অসস্থতা তাকে নুইয়ে রেখেছে। পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করছেন আর দির্ঘ শ্বাস ছেড়ে নিজের কষ্টে ভরা আকুতি প্রকাশ করছেন নির্লোভ-নিরহঙ্কার এই কলম সৈনিক।
বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের মহামারি এই দুর্যোগে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও অসহায় মানুষরা বিভিন্ন ভাবে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রণোদনা পাচ্ছেন। কিন্তু প্রণোদনার তালিকায় সাংবাদিক ফয়েজের নাম ওঠছে না। উপজেলার উসমান পুর ইউনিয়নে তার বাড়ি হলেও সে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ওয়াডের মেম্বার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অসুস্থ এই সাংবাদিকের খোঁজ রাখছেন না। এমনকি সরকারী এাণের তালিকায় তার কোন নাম নেই। এতে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে তার চার সদস্যের পরিবার অনেকটাই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহির আহমদ মোহন বলেন সাংবাদিক ফয়েজ ভাই দির্ঘ দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। তার কষ্টের কথা বিবেচনা করে যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক নরুল হক খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. জামাল খান সুদূর প্রবাসে থেকে আমার মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা ও এক মাসের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ওসমানীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিপন আহমদকে সাথে নিয়ে আমি এগুলো তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। জামাল খান আরো সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন।
ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিপন আহমদ বলেন প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে ৩হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। যদিও এই সহায়তা খুবই অপ্রতুল। এবিষয়ে আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খজনক। আমি তার বিষয়ে খোজঁ-খবর নিচ্ছি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাকে সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করব।