কক্সবাজারে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সেনাবাহিনী প্রধানদের বৈঠক

কক্সবাজারের হোটেল সি পার্লে আজ বিশ্বের ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথভাবে আয়োজিত চার দিনব্যাপী ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই সেমিনার শুরু হয়েছে এবং তা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের বাহিনী প্রধানগণ একটি গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহন করেন। সেমিনারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’।এ ছাড়া সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন ও করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতারা পেশাদারিত্বের ওপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।এই সম্মেলন অত্র অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর বৃহত্তম সমাবেশ। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা।পরবর্তী সময়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সামরিক কর্মকর্তাগণ উখিয়ার কুতুপালং এ বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন।এ সময় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকগণ আগত প্রতিনিধি দলকে সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরে। এ ছাড়া সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং করেন।এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে দেখেন।

Advertisement