কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে অনেক চিন্তা-পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আর কক্সবাজার নিয়েতো আরও বেশি। কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সি-বিচ, পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেভাবেই পুরো কক্সবাজার শহরকে উন্নত-সমৃদ্ধ করব।

অনুষ্ঠানটিতে কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্তে যুক্ত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান, কক্সবাজারের সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দরা।বিমানবন্দরটির প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে রানওয়ে পরিমাপ মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুট হবে। যা রাজধানীর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের (১০ হাজার ৫০০ ফুট) চেয়েও ২০০ ফুট বেশি। ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৪ এর মতো বৃহৎ আকৃতির বিমানগুলো বিমানবন্দরটিতে খুব সহজেই অবতরণ করতে পারবে। এমনকি সেখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পথও বেশ সুগম হয়ে উঠবে। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বহির্বিশ্বের পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে নতুনভাবে পরিচয় করানোর জন্যই বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। এ জন্য এরই মধ্যে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।যার মধ্যে- বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের সম্প্রসারণ, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড, লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। যদিও অনেকগুলো কাজ এখনো চলমান অবস্থাতে রয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের সমুদ্রবক্ষে নির্মীয়মাণ রানওয়ের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার পাঁচশ ৬৯ কোটি টাকা।উল্লেখ্য, গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

Advertisement