ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন সিঙ্গাপুর করোনাকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার তারা বলেছে, ১৪ দিনে সেখানে নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো আক্রান্তের খবর নেই। তারা বলেছে, শ্রমিকদের একটি ডরমেটরি ছিল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শেষ ক্লাস্টার। সেখান থেকে এই ভাইরাসকে হটিয়ে দিয়েছে তারা। এসব ডরমেটরিতে গাদাগাদি করে অবস্থান করেন বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে থাকেন ভারতীয় ও চীনা শ্রমিক। তাদের বেশির ভাগই যুবক। তবে কাজ করেন অল্প বেতনে।
এ বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মূল ছিল এসব শ্রমিকের ডরমেটরি। এক পর্যায়ে ওইসব ডরমেটরিকে লকডাউন দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিঙ্গাপুরে যখন স্থানীয় পর্যায়ে একজন মানুষও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি, তখন বিদেশ থেকে যাওয়া এক ব্যক্তির দেহে এই সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে। এরপর চীনের বাইরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় এই সিঙ্গাপুরে। তারপর থেকে সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৮ হাজার মানুষ। মারা গেছেন মাত্র ২৮ জন। সারা বিশ্বে মৃত্যুর দিক দিয়ে এই সংখ্যা সর্বনি¤œ। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল বিদেশি শ্রমিকদের বাসস্থান বলে পরিচিত ওইসব ডরমেটরিতে। ফলে কর্তৃপক্ষ সেখানে কঠোর কোয়ারেন্টিন আরোপ করে। এ জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলোর কড়া সমালোচনা সহ্য করতে হয় সিঙ্গাপুরকে। বুধবার সিঙ্গাপুর প্রথম ঘোষণা করে যে, তাদের সেখানে আর কোনো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্লাস্টার নেই।
Advertisement