করোনার ডিএনএ ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন

বিশ্বে সবার আগে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ডিএনএভিত্তিক একটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। জাইডাস ক্যাডিলা’র তৈরি এই টিকার নাম দেয়া হয়েছে জাইকোভ-ডি (ZycoV-D)। প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছর বা তদুর্ধ্ব শিশু কিশোরদের ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকা অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ওষুধ প্রশাসন নিয়ন্ত্রক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, এই অনুমোদন ভারতের টিকাদান কর্মসূচিকে সমৃদ্ধ করবে। তারা ডিসেম্বরের মধ্যে সব বৈধ প্রাপ্ত বয়স্ককে টিকাদান নিশ্চিত করতে চায়। এ সময়ে তারা ১৮ বছরের নিচে বয়স এমন শিশুদের প্রথম ডোজ টিকা দেবে। কারণ, ভারত এখনও ভাইরাসটির বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।

জাইকোভ-ডি’তে ব্যবহার করা হয়েছে ভাইরাসটির জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালের একটি অংশ। তা ডিএনএ অথবা আরএনএ’কে নির্দেশনা দেয় সুনির্দিষ্ট প্রোটিন তৈরিতে। এই প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এখানে উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের অন্য টিকার মতো এই টিকা নয়। অন্য বেশির ভাগ টিকাই পূর্ণাঙ্গ ডোজ হিসেবে দুটি ডোজ নিতে হয় অথবা একটি ডোজ নিতে হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম হলো জাইকোভ-ডি। এই টিকা তিনটি ডোজ নিতে হয়। এর প্রস্তুতকারক ভারতের গুজরাটে অবস্থিত ক্যাডিলা হেলথকেয়ার লিমিটেড। বছরে তারা এই টিকা ১০ কোটি থেকে ১২ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে টিকা উৎপাদন করে তারা মজুদ করা শুরু করেছে।

জাইডাস ক্যাডিলার এই টিকা যৌথভাবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উৎপাদন করছে ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি। এ নিয়ে ভারত করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা উৎপাদন করলো। এর আগে ভারত বায়োটেক তৈরি করে কোভ্যাক্সিন। জাইডাস ক্যাডিলা জুলাইয়ে বলেছিল যে, তাদের টিকা করোনা ভাইরাসের রূপান্তরিত রূপ, বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। সূচমুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করে এই টিকা দেয়া হয়। তারা ১লা জুলাইয়ে নিজেদের আবিষ্কৃত টিকার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে বলা হয়, সারাদেশে কমপক্ষে ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হয়েছে এই টিকা। তাতে দেখা গেছে শতকরা ৬৬.৬ ভাগ কার্যকর এই টিকা।

Advertisement