প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরো ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ৪৬৭ জনে। এর আগে, বৃহস্পতিবার ২৩৯, বুধবার ২৩৭, মঙ্গলবার ২৫৮, সোমবার ২৪৭, রোববার ২২৮ ও শনিবার ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এ সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৩ হাজার ৮৬২ জন। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে। উল্লিখিত সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন।২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৫৬৮ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৪টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৮ হাজার ৯১৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
করোনায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ২৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১১ জন, সিলেট বিভাগের ১৭ জন, রংপুর বিভাগের ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৮ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ এবং ৯৩ জন নারী। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৮৬৯ জন এবং নারী ৬ হাজার ৫৯৮ জন। এদের মধ্যে ৯ জন বাসায় মারা গেছেন। একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৯, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১১, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩২, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৬৯, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৮, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৫, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৫, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫ ও ১১ থেকে ২০ বছরের একজন মারা গেছেন।গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।