ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনা ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফোর হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজারের ৬০০-এর বেশি। এছাড়া চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে আরো প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।
উৎপত্তিস্থল চীনে সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৮১। এর মধ্যে ৩ হাজার ২২৬ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৮ হাজার ৬৮৮ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৮০। এর মধ্যে ২ হাজার ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ হাজার ৭৪৯ জন। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আলজাজিরার।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ায় প্রথমবারের মতো মৃত্যুর কথা জানা গেছে। পাকিস্তানে একজন এবং মালয়েশিয়ায় একজন মারা গেছেন। এছাড়া ভারতে আরো এক জনের মৃত্যুর মধ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে। করোনার বিস্তার রোধে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ তাজমহল পরিদর্শন বন্ধ করা হয়েছে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারতের পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল মঙ্গলবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেন, টিকিট করে প্রবেশ করতে হয় এমন সব ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ ও অন্য সব জাদুঘর ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে গতকাল থেকে দেশটির সব মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তসহ জুমার নামাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা-সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের সারিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নাম উল্লেখযোগ্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক দিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইউরোপে। তাই করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এবার সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে ইউরোপিয়ান কমিশন। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের ময়দানে আছি।’ এক বিবৃতিতে তিনি দেশবাসীকে অপ্রয়োজনীয় সফর এড়িয়ে চলতে বলেছেন।
এতসব দুঃসংবাদের মধ্যে আশার খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের (প্রতিষেধক) কার্যকারিতা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে একটি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চার রোগীর মধ্যে ঐ প্রতিষেধকের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হয়। করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড থেকে প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এ পরীক্ষার ফলাফলে প্রতিষেধকটির কার্যকারিতার প্রমাণ মিললেও সেটি সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য হতে আরো ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।