ব্রিট বাংলা ডেস্ক : করোনা ধরা পড়ার ১০ দিন পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আবস্থা খারাপ হওয়া লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। এমন তথ্য জানিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম মেট্রো। বলা হচ্ছে, তার শরীরে এখনো তাপমাত্রা রয়েছে। আর কাশি তো রয়েছেই। তাই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভয় বাড়ছেই।
বরিস জনসনের নিউমোনিয়া হয়েছে কি-না তা নিয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছে না ডাউনিং স্ট্রিট। তবে একজন মুখপাত্র বলেছেন, তার অবস্থা এখন আর ‘হালকা’ নয়। তাকে হাসপাতালে ‘পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে। তবে তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের ইনফেকশন ল্যাবরেটরির সেল বায়োলজির গ্রুপ লিডার রূপার্ট বিলে বলেছেন, বরিস জনসনের হৃদপিণ্ড ঠিক মতো কাজ করছে কি-না তা যাচাই করার জন্য একটি ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) করানো হবে।
বরিস জনসের আরো কয়েকটি বিশেষ পরীক্ষা করা হবে। ফুসফুসের সঠিক চিত্র পেতে বুকের একটি সিটি স্ক্যান করানো হবে। তারা অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রয়েছে কি-না তা জানতেও পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী চিকিত্সা করা হবে।
এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ দিন বাসায় ছিলেন বরিস জনসন। বাসায় থেকেও তিনি অনলাইনে সব ধরনের কাজ করার চেষ্টা করেছেন। সরকারি মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কাজের চাপ নিয়ে নিজের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন ডরিস মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সদস্য যিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। তিনি বলেন, জনসনকে ঘুমাতে হবে ও সুস্থ হয়ে ওঠতে হবে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র গত রাতে বলেছিলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী রাতে কয়েকটি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এটি একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ভাইরাসে আক্রান্ত এবং দশ দিন পরেও করোনাভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে।
গত ২৭ মার্চ বরিসের শরীরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে সে সময় করোনা খুব হাল্কাভাবে তার শরীরে অবস্থান করছিল। এদিকে, বরিস জনসনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়ার পর ব্রিটেনের অনেক সাংসদ বরিসকে দ্রুত আরোগ্য কামনার শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।