ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কাউন্সিলর পদ হারাচ্ছেন এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। ভ্রাম্যমান আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দেয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করতে পারে। ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করার পর গতকাল হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বেআইনি বিভিন্ন সমরঞ্জাম পাওয়ায় সেলিমপুত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা তো আইনে কাভার করে। ইরফান বরখাস্ত হবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিনিয়র সচিবি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনে বলা হয়েছে, কেউ সাজা প্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।
গত রোববার রাতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে এ ঘটনায় জিডি হয়। পরে সোমবার ভোরে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এদিন পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেয়া হয়। পরে রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।