নর্থ ওয়েলসের প্রাণী প্রেমিক কোরিন রেনল্ডসের সঙ্গে কাঠবিড়ালির গল্পের শুরু আনন্দময়। নিজের বাগানে মাঝেমধ্যে খাবার দেওয়া আর প্রাণীটির খেলার দৃশ্য উপভোগে ভালোই কাটছিল সময়। কিন্তু হঠাৎ করেই স্ট্রাইপ নামের কাঠবিড়ালিটি রেনল্ডসসহ তার প্রতিবেশিদের ঘুম হারাম করে দেয়।বাকলি, ফ্লিন্টশায়ার শহরের বহু মানুষকে কামড়ে দেয় ধূসর কাঠবিড়ালিটি। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে রক্তও বের হয়। পরে একটি ফাঁদ বসিয়ে কাঠবিড়ালিটিকে ধরে ফেলেন রেনল্ডস। পরে এটিকে নিয়ে যায় যুক্তরাজ্যের প্রাণী দাতব্য সংস্থা আরএসপিসিএ।৬৫ বছর বয়সী রেনল্ড গ্রীষ্মে স্ট্রাইপকে খাওয়ানো শুরু করেন। কয়েক মাস ধরে এটি নিয়মিতভাবে তার বাগানে আসতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই এটি খাবার নিয়ে গেলে হাতে কামড় দিতে থাকে। নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা স্থানীয় একটি সোস্যাল মিডিয়া গ্রুপে জানান। এরপরে হতবাক হয়ে যান তিনি। জানতে পারেন অন্য অনেককেও কামড় দিয়েছে এটি।
কোরিন রেনল্ডস বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাঠবিড়ালিটি ১৮ জনকে আক্রমণ করেছে। মানুষ তাদের বর্জ্যের ব্যাগ ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে নিতে দেখলেই তাদের ওপর আক্রমণ করতে শুরু করে এটি। আর অনেকেই মারাত্মক আহত হয়। আবার অনেক প্রতিবেশি জানিয়েছেন, কাঠবিড়ালিটি তাদের পোষা প্রাণীকেও আক্রমণ করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা থেকেই ফাঁদ পেতে কাঠবিড়ালিটি ধরে ফেলেন রেনল্ডস।পরে আরএসপিসিএ এসে কাঠবিড়ালিটি নিয়ে যায়। এখানেও শেষটা ভালো হয়নি।ধূসর কাঠবিড়ালি জঙ্গলে উন্মুক্ত করে দেওয়া বেআইনি হওয়ায় এটিকে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছে আরএসপিসিএ। সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানান, ২০১৯ সালের এক আইনে ধূসর কাঠবিড়ালিকে জঙ্গলে উন্মুক্ত করে দেওয়াকে বেআইনি করায় আমাদের এটি ছেড়ে দেওয়ার উপায় নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আইনটির সঙ্গে একমত নই। কিন্তু আইনগতভাবে তা আমাদের মানতে হবে।দাতব্য সংস্থাটির পরামর্শ হলো মানুষ যেন কাঠবিড়ালিকে কোনও খাবার না দেয়। কিন্তু এগুলো যেন প্রকৃতি থেকে নিজের খাবার খুঁজে নিতে পারে তা সংরক্ষণের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে।ব্রিটিশ পেস্ট কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মানুষকে কাঠবিড়ালি কামড় দেওয়ার ঘটনা বিরল। কিন্তু কামড় দিলে গভীর ক্ষত হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সূত্র: গার্ডিয়ান