কুমিল্লায় কাউন্সিলর খুন : প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চানপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত শাহ আলম কুমিল্লা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়া ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে ওই এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।

সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা পলিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহত ব্যক্তি কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শাহ আলম। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, গুলি এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সোমবার রাতে ওই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত হন।সেদিন নিহত হন, নগরীরর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)।২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।

Advertisement