কোনো রোগকেই অবহেলা করা ঠিক না: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, ক্যান্সারসহ কোনো রোগকেই অবহেলা করা ঠিক না। ক্যান্সার আগেভাগে চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘আমি আছি এবং আমি থাকব’। অর্থাৎ ক্যান্সার রোগীদের পাশে থেকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে হবে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আমাদের সবাইকে লড়ে যেতে হবে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে।

মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ’র এ ব্লকের সামনে বটতলায় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসচেতনতামূলক র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। পরে বেলুন উড়িয়ে জনসচেতনতামূলক র‌্যালির শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

র‌্যালিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম প্রমুখ।

এ দিকে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে সকাল ৮টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক (ডা.) কাজী মুশতাক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক (ডা.) আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাসপাতাল শাখার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. রণদা প্রসাদ রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. আলী নূর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের নেয়া জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের আমলেই ৫০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল ৩০০ শয্যায় রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এই হাসপাতালটিকে ৩০০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় বর্ধিত করণের কাজ চলমান আছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে নতুন উন্নত আধুনিক যন্ত্রপাতি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক (ডা.) কাজী মুশতাক হোসেন বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন এবং দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে অধিক গুরুত্বারোপ করেন। দেশেই ক্যান্সারের সুচিকিৎসা আছে জানিয়ে তিনি অপ্রয়োজনে বিদেশে গিয়ে কষ্টার্জিত অর্থ অপচয় না করার আহ্বান জানান।

Advertisement