মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, কোভিড অতিমারি সৃষ্ট সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আকাঙ্খা পূরণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় ও বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।বর্তমানে তিনি সরকারি সফরে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন এবং দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এক তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ সহিদ, জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সভাপতি কোলেন ভিক্সেন কিলাপাইল, স্বল্পোন্নত দেশ, ভূ-বেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের উচ্চপ্রতিনিধি ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল কোর্টিনে র্যাট্রে এবং জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভোলপমেন্ট পলিসি’র সচিব রোন্যাল্ড ম্যোলেরাস-এর নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ দলের সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন।বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ ছিল বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত আকাঙ্খা।তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করেন। এলডিসি থেকে চুড়ান্তভাবে উত্তরণের সাফল্য ঘরে তুলতে প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প দু’টি বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষজ্ঞগণ মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জাতিসংঘের নতুন উদ্যোগ, যেমন- ‘সাসটেইন্যাবল গ্রাজুয়েশন সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি’ এবং ‘এনহ্যান্সড্ গ্রাজুয়েশন মনিটরিং’ সম্পর্কে অবহিত করেন, যা উত্তরিত দেশসমূহে যেকোনো সংকট দেখা দিলে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। দোহা কর্মপরিকল্পনার নেগোসিয়েশনে নেতৃত্বদানের জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রবার্ট রে এর প্রশংসা করেন জাতিসংঘের নেতৃবৃন্দ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জাতিসংঘ সদরদপ্তরের নর্থ লনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু বেঞ্চ পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য বেঞ্চটি এবছর সেপ্টেম্বরে ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদানের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।এছাড়া বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাগণের সাথেও এক সভায় মিলিত হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি কর্মকর্তাগণকে সরকারের অগ্রাধিকারভূক্ত বিষয়সমূহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।জাতিসংঘের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণের সাথে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এসব বৈঠক জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরীফা খান উপস্থিত ছিলেন।