ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বাতাসে উপস্থিত জলীয় বাষ্প বা পানির কণার সঙ্গে মিশে কয়েক ঘন্টা টিকে থাকতে পারে নতুন করোনা ভাইরাস। শূন্যে ভেসে থেকে তা কয়েক দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে বলে গবেষণায় তথ্য মিলেছে। বলা হয়েছে, এর ফলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এড়াতে এ থেকে গাইডলাইন বেরিয়ে আসতে পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এমন পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস-এর বিজ্ঞানীরা। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন রকি মাউন্টেইন ল্যাবরেটরির গবেষক নিলটজে ভ্যান ডোরেমালেন। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে কিভাবে বাড়িতে বা হাসপাতালে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে তার ওপর তারা পরীক্ষা করেন। এজন্য এই ভাইরাসের অনুকরণ করেন তারা।
এক্ষেত্রে তারা অ্যারোসল ছড়িয়ে দেয় এমন একটি ডিভাইস ব্যবহার করেন। তা থেকে অণুবিক্ষণিক বাষ্প বা পানির কণা সৃষ্টি করেন, যেটা সৃষ্টি হয় কাশি বা হাঁচিতে। এরপর তারা তাতে ওই সংগৃহীত ভাইরাসের ওপর গবেষণা করেন। পরীক্ষা করে দেখেন যে, তা কতক্ষণ শূন্যে সংক্রামক গুণ ধরে রাখে। মঙ্গলবার নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে। এতে প্রমাণ মেলে যে, যখন আক্রান্ত কেউ হাঁচি বা কাশি দেন তখন তার মুখ থেকে বাষ্পাকারে যে পানির কণা বেরিয়ে আসে তার সঙ্গে মিশে থাকা করোনা ভাইরাস অনেক সময় টিকে থাকতে পারে। অন্য মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। অ্যারোসলে কমপক্ষে তিন ঘন্টা তা সক্রিয় থাকে। প্লাস্টিক বা স্টেইনলেস স্টিলে তিন দিন পর্যন্ত টিকে থাকে এই ভাইরাস। তবে কাপবোর্ডের ওপর ২৪ ঘন্টার বেশি টিকে থাকে না এই ভাইরাস। কপারে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় ৪ ঘন্টায়। গবেষকরা দেখেছেন যদি অ্যারোসল কণার উপস্থিতি থাকে তাহলে প্রায় ৬৬ মিনিটে অর্ধেক ভাইরাস তার কার্যক্ষমতা হারায়। এর অর্থ হলো, আরো এক ঘন্টা ৬ মিনিটে ভাইরাসটির চার ভাগের তিন ভাগ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখনও টিকে থাকে চার ভাগের এক ভাগ। তৃতীয় ঘন্টায় তা কমে যায় আরো শতকরা ১২.৫ ভাগ।
স্টেইনলেস স্টিলে অর্ধেক ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হতে সময় নেয় ৫ ঘন্টা ৩৮ মিনিট। প্লাস্টিকে তা ৬ ঘন্টা ৪৯ মিনিট। কাপবোর্ডে এর অর্ধায়ূ হলো প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা।