ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা নিয়ে করা গাম্বিয়ার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত যে রায় দিয়েছে তা যদি নিরাপত্তা পরিষদে ওঠে বা আলোচনা হয় তবে তাতে ভেটো দেবে না চীন। তারা চায়- বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিশ্চিত হোক এবং একইসঙ্গে উভয় দেশ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান করুক। এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে, চীনও সেভাবেই সহযোগিতা করবে।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাব- এর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডিকাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টির সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।
লি জিমিং বলেন, জাপান মাতার বাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর করছে। সুতরাং চীন মনে করছে সোনাদ্বীয়ায় তাদের সমুদ্রবন্দর করার যে প্রস্তাব ছিলো সেটার আর প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে এখন চীন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ডে টার্মিনাল করতে চায়।
তিনি বলেন, চীন মনে করে আমেরিকানরা যে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাট্রেজি (আইপিএস) জোট করছে সেটা কোন ইকোনোমিক জোট হবে না। এটা অনেকটা মিলিটারি জোট হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে চীন যে ধারণা পেয়েছে তা হলো- যদি ইকোনোমিক জোট হয় তাহলে বাংলাদেশ যোগদান করবে, মিলিটারি হলে যোগ দেবে না।
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এ নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়া বিশেষ করে আমেরিকা নানারকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বাস্তবতা হলো চীন শুরু থেকেই এটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। পূর্ণ সক্ষমতা তাদের রয়েছে। ভাইরাসটা উহান থেকে ছড়িয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এটার উৎপত্তি আসলে কোথা থেকে সে ব্যাপারে সাইন্টিফিক কোন ব্যাখ্যা কারো কাছে নেই। এ ব্যাপারে কাজ চলছে, গবেষণা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই সময় পাশে থাকার জন্য বাংলদেশ সরকারের প্রতি চীন খুবই কৃতজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন এই কূটনীতিক।বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। চীনের অনুমতির কোন বিষয় নেই। বাংলাদেশের বিমান সেখানে যেতে চায় না, কারণ সেখানে গেলে বিমান অন্যদেশে যেতে পারবে না।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাস সমস্যা শুধু উহানে। অন্য প্রদেশে কোন সমস্যা নেই। উহান ছাড়া সবখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্য দেশে ব্যবসা স্থানান্তর হবে ব্যয়বহুল, অসম্ভব এবং অপ্রয়োজনীয়। এজন্য তিনি তাদের সঙ্গে কাঁচামালসহ নানা পণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানান।