গুজরাটের মরবিতে রোববার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ব্রিটিশ আমলের একটি সেতু ধসে পড়ে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪১ জন। এছাড়া প্রায় ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনও নিখোঁজ কয়েকজনের সন্ধান করছেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিজটি যে তারগুলোর ওপর ঝুলন্ত ছিল, সেগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার পর ব্রিজে থাকা মানুষজন নদীতে পড়ে যায়। তখন ঝুলন্ত ব্রিজে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিল বলে জানা গেছে।আহমেদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১৫০ বছরের পুরনো সেতুতে অনেকেই ‘ছট’ পূজার অনুষ্ঠান করছিলেন। সেতু ভেঙে যাওয়ার পর মানুষ একে অপরের ওপরে পড়ে যায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, অনেকে মরিয়াভাবে সেতুর অবশিষ্টাংশ আঁকড়ে ধরে আছে। কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে ওঠার চেষ্টা করছেন।মাচ্ছু নদীর ওপর সংস্কারের জন্য সেতুটি সাত মাস ধরে বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে জনসাধারণের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, গত সপ্তাহে ব্রিজটির সংস্কার হয়েছিল। তারা এই ঘটনায় হতবাক। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনার দায় নেবে।দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে নির্বাচনের জন্য প্রচারের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জানান, এই বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি সেতু ধসের তদন্ত করছে।স্থানীয় পৌরসভার প্রধান সন্দীপসিংহ জালার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটি পুনরায় চালু করার আগে সুরক্ষা শংসাপত্র নেয়া হয়নি সংস্কারকারীরা।ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) পাঁচটি দল নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে রাতভর কাজ করেছে। সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীও পরে অভিযানে যোগ দেয়।রাজ্য সরকার দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের চার লক্ষ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপির ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। গুজরাটে থাকা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন।