সায়েন্স ল্যাবের একদিন পর ঢাকায় আবারও বিস্ফোরণ। রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের পাশে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এ দুঘর্টানায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুই শতাধিক।আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিস্ফোরণের পর ভবনটি থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।এদিকে উদ্ধার কার্যক্রম ও আহতদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষিত ইউনিট আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) একটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী পরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আহতদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ভিড় এড়াতে ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ৩২ জনের একটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুই প্লাটুন সাধারণ আনসার নতুন করে মোতায়েন করা হয়েছে। আগে থেকেই ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে আসছেন, তবে মঙ্গলবার সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর হতাহতদের একে একে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনা আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। বহু মানুষ উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছেন। সড়কে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শবর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যে যেভাবে পেরেছেন আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটি বাণিজ্যিক হওয়ায় ভেতরে অনেকের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভবনটির ভেতরে আরও আহত কেউ আটকা পড়েছে কি না, তা খুঁজে দেখছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।