ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : ওয়েস্ট লন্ডনের কেনসিংটন এবং চেলসি কাউন্সিলের গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত বাঙালী মা রাবেয়া বেগম ও মেয়ে হোসনা বেগমের নামাজে জানাজা রোববার বাদ জোহর ইস্ট লন্ডন মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজে জানাজায় উপস্থিত থেকে অগ্নিকান্ডে নিহত এই পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাতের জন্যে দোয়া করেছেন কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক মানুষ।
ওয়েস্ট লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের আলহাজ কমরু মিয়া, স্ত্রী রাবেয়া বেগম, মেয়ে হোসনা বেগম এবং দুই ছেলে হানিফ ও হামিদ রয়েছেন। এরমধ্যে মা রাবেয়া বেগম এবং মেয়ে হোসনা বেগমের মরদেহ সনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার জানাজা শেষে হেনল্টের গার্ডেন অব পিসে তাদের দাফন করা হয় বলে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল রহীম ব্রিটবাংলাকে জানিয়েছেন। জানাজা শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তিনি আলহাজ্ব কমরো মিয়ারের পরিবারের সবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন। তিনি নিহত কমরো মিয়ার ভাতিজা হন। এ সময় পাশে ছিলেন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কমরো মিয়ার ছেলে হাকিম মিয়া।
সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংবাদ :
London fire : Appeals for missing : টাওয়ারের ১৪ তলায় বাস করতেন মৌলভীবাজারের হোসনা বেগমের পরিবার
Grenfell Tower: Fire started in Hotpoint fridge : হটপয়েন্ট ফ্রিজ থেকে আগুনের সুত্রপাত
Grenfell Tower: Retired judge to lead disaster inquiry : পাবলিক ইনকোয়ারির নেতৃত্ব দেবেন অবসরপ্রাপ্ত জাজ
ওয়েস্ট লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগার পর বৃদ্ধ বাবা মাকে ফেলে যেতে চাননি ৩ বাঙালী ভাই বোন। বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়েই ৩ ভাই-বোন অনিশ্চিত জীবনের অপেক্ষায় থাকেন। শেষ পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়েই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। গত ১৩ জুন মধ্যরাতে ২৪ তলার গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮০ জন নিহত হন বলে পুলিশ নিশ্চিত করে। এরমধ্যে মৌলভীবাজারের এক পরিবারের ৫ সদস্য রয়েছেন। মিডিয়ায় তাদেরকে বেগম পরিবার বলেই উল্লেখ করা হয়। আগুন লাগার প্রায় ১ ঘন্টা পরেও চাইলে বৃদ্ধ বাবা-মাকে ফেলে জীবন রক্ষা করতে পারতেন ২২ বছর বয়সের হুসনা বেগম এবং তার দুই ভাই ২৬ বছরের হানিফ এবং ২৯ বছর বয়সের হামিদ। ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার পর প্রায় ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তারা জীবন রক্ষার জন্যে বের হয়ে আসতে পারতেন। রাত প্রায় ৩ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ১৭ তলার নিজের ঘর থেকে তারা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বর্ণনা করেছেন পুরো পরিস্থিতির। কান্নাজড়িত কন্ঠে বিদায় নিয়েছেন স্বজনদের কাছ থেকে।
ওয়েস্ট লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের আগুন লাগার সময় ঘরে ছিলেন ৮২ বছর বয়সী বাবা কামরু মিয়া, ৬০ বছর বয়সী মা রাবেয়া বেগম এবং তাদের তিন সন্তান। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তাদের আরেক সন্তান মোহাম্মদ হাকিম। হাকিম ঘরেই ছিলেন পরিবাররে সবার সঙ্গে। কিন্তু আগুন লাগার কিছু আগে তিনি ঘর থেকে বের হন। এরফলে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। ৩ ভাইয়ের একমাত্র বোন হোসনা বেগমের বিয়ে টিক ছিল জুলাই মাসে। লেস্টারের একটি পরিবারের তার বিয়ের কথাবার্ত পাঁকাপুক্ত ছিল।