ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: প্রতিরোধমুলক নির্দেশনার বাস্তবায়ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত সন্ত্রাসে আর্থিক সহায়তা বিষয়ক ‘ধূসর’ তালিকায় অবস্থান করবে পাকিস্তান। আন্তঃসরকার সংগঠন ফিন্যান্সিয়াল একশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) ইসলামাবাদকে তার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ আরো উন্নত করার আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেছে। পাকিস্তানকে তারা ২৭টি সুপারিশ দিয়েছিল বাস্তবায়নের জন্য। এর মধ্যে ২১টিতে অগ্রগতি করার জন্য পাকিস্তানের প্রশংসা করেছে তারা। তবে বাকি সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে ‘ধূসর’ বা গ্রে লিস্টেই রাখা হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে আরো বলা হয়, ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টে ফেলে এফএটিএফ। তখনই তারা ২৭টি সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছিল পাকিস্তানকে।
কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা এর ১৩টি সুপারিশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে আরো চারমাস সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে, বর্ধিত এই সময়ও পেরিয়ে যায়। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে জি-৭ এর উদ্যোগে গঠিত হয় এফএটিএফ। তাদের উদ্দেশ্য অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এরপর ২০০১ সালে সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি এতে যুক্ত হয়। তারা যেসব দেশকে মনে করে সন্ত্রাসে অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত করছে না তাদেরকে তথাকথিত ‘গ্রে লিস্টে’ ফেলে। শুক্রবার এর প্রেসিডেন্ট ড. মারকাস প্লেয়ার প্যারিস থেকে এক ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, বাকি পরিকল্পনা সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান। তবে তারা যে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে তা স্পষ্ট। তাদেরকে আরো অনেক কিছু করতে হবে। তাদেরকে সংস্কার করতে হবে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের খাতগুলোর বিরুদ্ধে অবরোধ দিতে হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত আসার আগে ভারতকে দায়ী করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানকে শাস্তিমুলকভাবে কালোতালিকাভুক্ত করার জন্য লবিং করেছে ভারত। ওদিকে এফএটিএফের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আঞ্চলিক পর্যবেক্ষক এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ সুপারিশ করেছে পাকিস্তানকে গ্রে তালিকাভুক্ত রাখার জন্য। কারণ, সেখানে এখনও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি বিদ্যমান।