ছেলের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা: আরেক আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মানিক নিহত হওয়ার দু’দিনের মাথায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন এ মামলার আরো এক আসামী।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পল্লবী ১২ নম্বর সেক্টরে সাগুপ্তা হাউজিংয়ের সামনে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মনিরের সঙ্গে ডিবির মিরপুর বিভাগের একটি জোনাল টিমের বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়।হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেপ্তার বন্দুকযুদ্ধে গুরুতর আহত হন মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে সেখানে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক বুলবুল বলেন বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আরো পরে জানানো হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের একটি টিম এখন অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে।উপ-পরিদর্শক বুলবুল আরো বলেন, নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীনকে হত্যা মামলার আসামি। হত্যাকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল।এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‍্যাব-৪ এর একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আলোচিত এ মামলার আরেক আসামি মানিক।

রোববার (১৬ মে) বিকেল ৪টায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি-ব্লকের একটি বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে পাশের একটি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত।রাজধানীর পল্লবীর ডি–ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে সংঘঠিত ওই রোমহর্ষ ঘটনার ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে যে দুজন হামলাকারীকে দেখা গেছে, তারা হলেন আগেরদিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক ও আজ বন্দুকযুদ্ধে নিহত মনির।নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা ১৭ মে পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর তিন আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. আউয়াল, মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement