প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মসজিদে খুৎবা পড়ার সময় জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি এবং নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেশের আলেম, উলেমা এবং খতিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।সোমবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ আলেম, উলেমা, খতিব এবং ইমামদের শ্রদ্ধা করে। তাই আপনাদের কথাবার্তা বা আলাপ-আলোচনা তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি মসজিদে বয়ানের সময় নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ, জঙ্গিবাদ, মিথ্যা গুজবের অপপ্রচার, গৃহকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশি বেশি আলোচনা করেন জনগণ তা গ্রহণ করবে।বিশেষ করে জুমা’র নামাজের পূর্বে খুৎবা পাঠে এসব বিষয়গুলো আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।সরকার প্রধান বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিছু লোক যারা সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড করে আমাদের শান্তির ধর্মটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বিপথে চলে যায়। এটা যাতে না হয়, সেদিকে আমাদের সকলের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। আমাদের এই ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবারই সমান অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। কাজেই অন্যের ধর্মে আঘাত দেওয়া মোটেই সমীচীন নয়। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষা দেয়নি, সেই কথাটি আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী যেন দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছি।’বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা এখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। দীর্ঘদিন এই ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়, এ বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।
Advertisement