বিশেষ প্রতিনিধি : একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছে এবারের রামাদান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী রবি অথবা সোমবার হতে পারে পবিত্র ঈদুল ফেতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করে নতুন জামা কাপড়। ইস্ট লন্ডনের বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের হোয়াইটচ্যাপল এলাকার ব্যবসায়ীরা জানালেন, পুরো রামাদানে ইফতারের বেচাবিক্রি যেমন ভালো ছিল, টিক তেমনি জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটাও। তবে গত বছরের তুলনায় সামগ্রিক ব্যবসা কিছুটা কম বলে জানালেন ব্যবসায়িরা। তারপরও নতুন ডিজাইনের পোশাক আর সর্বশেষ ফ্যাশনের গহনা নিয়ে ক্রেতাদেও দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছে দোকানগুলো।
গত চল্লিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী গরম আবহাওয়া ছিলো বুধবার। বাঙালীর প্রানকেন্দ্র হোয়াইটচ্যালে তার প্রভাব পড়েছে বলেও মনে হয়েছে। হোয়াইটচ্যাপল, বৃকলেন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গরমের জ্বালায় ঈদের কেনাকাটায় আসা মানুষজন ডাব, আম, তারমুজ এমনসব ফলও কিনতে বেশ ড়ীড় করছেন। শেষ দিকের ইফতারের জন্যও মানুষজনের ভীড় কম ছিল না। বৃকলেনের আমারগাঁওসহ কিছু রেস্টুরেন্ট মূলত জমজমাট ছিলো মাসজুড়ে। এর ডিরেক্টর তৈয়ব আলী সাজু জানালেন, বাংলাদেশী আমেজে ইফতার খেতে পুরো মাসজুরেই ক্রেতাদের ভীর ছিল তাদের দোকানে।
এদিকে হোয়াইটচ্যাপল মার্কেটের ক্রেতারা অন্যান্য শপিং-এর পাশপাশি ইফতার সামগ্রি যেমন, বিরিয়ানি, আখনি, চানা-আলুচপ, চিকেন-মিটগ্রিল ইত্যাদি কেনাকাটা করছেন। সামগ্রিক বিক্রিতে খুব খশী ফিস্ট এন্ড মিষ্টি‘র এমডি শরিফ ইসলমা। জানালেন, পুরো রামাদানে বিভিন্ন জাতের সুস্বাধু ইফতার আইটেমের সমাহার ছিল ফিস্টে। এছাড়া তাদের ফ্রেস তৈরী মিষ্টি, জিলাবীসহ মিষ্টিজাত অন্যান্য দ্রব্যের কদর সবসময়েই বেশি।
রামাদান এলেই মিষ্টি হচ্ছে বড় আকর্ষন। ইফতারির আদান প্রদান নানান ধরনের মিষ্টি আর জিলাপী থাকবেই। তাই হোয়াইটচ্যাপলে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠিত দোকানগুলোর পাশাশি এবার ভিনদেশী ব্র্যান্ড নাওয়ালও বেশ ভালো করছে।
এদিকে ইফতারের বিকিকিনির পাশাপাশি ঘনিয়ে আসছে ঈদের কেনাকাটার ব্যস্ততাও। তাই বাংলাদেশী এবং ইন্ডিয়ান মালিকানাধিন শাড়ী দোকানগুলোতে নানান ডিজাইন এবং সবশেষ কালেকশন নিয়ে ক্রেতা আর্কষনের চেষ্টা হচ্ছে বলে লক্ষ্য করা গেল। হোয়াইটচ্যাপলে বেশ পুরনো শাড়ির দোকান রানিস এর মালিক জানালেন, ব্যবসা কিছুটা কম-তারপরও খারাপ নয়। তবে ঈদ বা তারো আগের ঈদের চাইতে এবার বেচা কেনা মন্দ বলে জানান তিনি।
নতুন কাপড়ের সঙ্গে মিল রেখে সোনার গহনা ছাড়াতো মানায়ই না। তাই সোনার দোকানেও ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে তাও অন্যান্যবারের তুলনায় কম বলে জানালেন ইউকে জুয়েলার্সের ডারেক্টর আফাজ মিয়া।
ঈদ ফ্যাশনে নতুনত্ব এবং বৈচিত্রতার দাবী নিয়ে ভালোই ক্রেতা আকর্ষন করছে মাহরিন। শুধু পাশ্চাত্যের ডিজাইন বা বাংলাদেশী-ভারতিয় ডিজাইনের ফ্যাশন নয়-ঈদে আরবিক কালচারের পোশাকেও ঝুঁকছেন অনেকে। সালমা ডিজাইনারের মতো ইসলামী পোষাকের দোকানেও চলছে ঈদের বেশ কেনাকাটা।