ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুনর্গঠনের পর ভারতের রাজ্য সংখ্যা কমে গিয়েছে। বেড়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা। গত ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ভেঙ্গে যাত্রা শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, এই দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের। ফলে ভারতের রাজ্য সংখ্যা ২৯ থেকে কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২৮-এ। অন্যদিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা ৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯। এই পরিবর্তনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে থাকছে দুটি জেলা। একটি হল কার্গিল, অন্যটি লে।
তবে গিলগিট বালতিস্থানকে লের অংশ হিসেবেই দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে থাকছে লাদাখ বাদে পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বাকি অংশ। জেলার সংখ্যা ২০। তবে এর মধ্যে দেখানো হয়েছে মুজফ্ফরাবাদ, পুঞ্জ এবং মীরপুরকেও। তবে এই পরিবর্তন নিয়ে এখন পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তানের কোনও মন্তব্য জানা যায় নি। ম্যাপটি তৈরি করেছে সার্ভে জেনারেল অব ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ছিল মোট ১১ জেলা। এগুলি হল কাঠুয়া, জম্মু, উধমপুর, রেসি, অনন্তনাগ, বারামুলা, পুঞ্চ, মীরপুর, মুজাফ্ফরাবাদ, লে ও লাদাখ, গিলগিট, গিলগিট ওয়াজারাত, চিলহাস ও উপজাতি অঞ্চল। ২০১৯ সালে ওইসব জেলা পুনর্গঠন করে তৈরি হয় মোট ২৮ জেলা। নতুন জেলাগুলি হল কুপওয়ারা, বান্দিপোরা, গান্ডেলবাল, শ্রীনগর, বদগাম, পুলওয়ামা, সোপিয়ান, কুলগাম, রাজৌরি, রামবন ডোডা, কিস্তওয়ার, সাম্বা ও কার্গিল। গত ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত শুক্রবার দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শপথ নেন দুই উপ রাজ্যপাল।