জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের জেনারেল ডিবেটে রোহিঙ্গা শরণার্থী, জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু এবং চীনের উইঘুর মুসলিমদের দুর্দশার কথা তুলে ধরলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফিরে যাওয়া সমর্থন করি। এসব মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে কঠিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আমরা চাই তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যান। গত বছরও আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় তিনি এই ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন। তিনি ওই সময় জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু জবাবে ভারত বলেছিল, বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ভারত তখন আরো বলেছিল, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত তুরস্কের।
একই সঙ্গে খুব গভীরভাবে নিজেদের নীতির দিকে তাকানো উচিত। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে আরো বলা হয়, মঙ্গলবার অধিবেশনের জেনারেল ডিবেটে বক্তব্য রাখেন এরদোগান। তিনি বলেন, ৭৪ বছর ধরে কাশ্মীরে যে সমস্যা চলমান তা সমাধানের পক্ষে আমাদের অবস্থান। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এবং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজ্যুলুশনের কাঠামোর মধ্যে। পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক। এ দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইস্যুটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের জেনারেল ডিবেটে তুলেছেন। গত বছর তিনি পাকিস্তান সফর করেন। এ সময়ও তিনি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন।
ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, এরদোগানের এসব বক্তব্য ইতিহাসনির্ভর নয়। কূটনৈতিক মানও বজায় রাখে না। এর ফলে ভারতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে বড় রকম প্রভাব পড়বে। ভারত আরো বলে, পাকিস্তানিরা ভয়াবহভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে যে সন্ত্রাস চালায়, তা নিয়ে তুরস্কের মাথাব্যথা নেই। মঙ্গলবার বক্তব্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট চীনের মুসলিম উইঘুর এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অনেক দেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ।