ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আগামী বছরের শুরুতে হংকং থেকে বৃটেনে আসছেন এক মিলিয়ন মানুষ। চলতি বছরের জুলাই মাসে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাউস অব কমেন্সে বক্তব্যে হংকংবাসীর স্বায়ত্বশাসন লঙ্গন হওয়ায় ভূক্তভোগীরা চাইলেই আগের বৃটিশ উপনিবেশ ছেড়ে বৃটেনে চলে আসতে পারেন বলে ঘোষনা দেন। এরপর থেকে বৃটিশ নাগরিক ও হংকংয়ে বসবাসরত তাদের স্বজনদের যুক্তরাজ্যে বসবাসের জন্য এবং ভিসার জন্য আবেদন করার অনুমতি পান।
‘কেন্দ্রীয় পরিসীমা’ পরিসংখ্যানের মতে বছরে, ১২৩,০০০ থেকে ১৫৩,৭০০ মানুষ প্রথম বছরে আসতে পারে। এই বছরের শুরুর দিকে, হোম অফিস হংকংয়ে বসবাসকারী বিএনওদের অধিকার প্রদানের জন্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। হংকংয়ের সঙ্গে ইউকে তার প্রত্যর্পণ চুক্তি স্থগিত করার পরে এবং চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই অঞ্চলটিতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার চাপ দেয়ার পরে এটি আসে।
জানুয়ারী থেকে, বিএনও এবং তাদের আশেপাশের পরিবার যুক্তরাজ্যে বসবাস, কাজ এবং পড়াশোনা করার জন্য আড়াই বা পাঁচ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং পাঁচ বছরের বেশী থাকার পরে বৃটিশ নাগরিকত্ব পেতে প্রায় ২৪০০ পাউন্ডের ফি প্রদান করে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদনের জন্য তাদের কোনও চাকরি বা বৈধ পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে না।তারা তাদের পরিচয় দিতে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।ইংরেজি বলার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে হবে
আবেদনকারীদের ভিসা এবং অভিবাসন স্বাস্থ্য সারচার্জের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে এক চুক্তি অনুযায়ী বৃটিশ শাসন থেকে হংকংকে চীনের কাছে হস্থান্তর করা হয়। তখন থেকে স্বায়ত্বশাসনের মযাদা ভোগ করে আসছে হংকং।
চুক্তি অনুযায়ী সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাধীনতায় ৫০ বছর হস্তক্ষেপ না করার কথা ছিলো চীনের। কিন্ত ২৩ বছরের মাথায় চলতি বছরের জুলাইয়ে হংকংয়ে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করে চীন এক দেশে দুই নীতির ইতি টানে চীন।