ডেইলি মেইলের চাকরি নিয়ে আইন ভেঙেছেন বরিস জনসন

পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের পর ডেইলি মেইলে কলাম লেখার চাকরি পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু এই চাকরি নিয়ে তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাজ্যের কোনো মন্ত্রী বা সাবেক মন্ত্রীর নতুন চাকরি গ্রহণের আগে মন্ত্রীমন্ডলীর অনুমতি লাগে। কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ অন্য কোথাও চাকরি নিলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস এই মাসের শুরুতে সংবাদপত্রের লেখক হিসাবে কাজে যোগ দেন, তবে তিনি নিয়োগের মাত্র আধা ঘন্টা আগে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিকে ( Advisory Committee on Business Appointments বা অ্যাকোবা) বিষয়টি বলেছিলেন। অ্যাকোবার সভাপতিত্বকারী কনজারভেটিভ পার্টির এরিক পিকলস মঙ্গলবার সরকারকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, তিনি জনসনের কাছে তার নতুন চাকরি গ্রহণের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাউডেনের কাছে তার চিঠিতে, পিকলস বলেছিলেন যে জনসনের মামলাটি বোঝায় যে তিনি স্পষ্টতই মন্ত্রিপরিষদের নিয়ম ভেঙেছেন। সেই সঙ্গে পিকলস যোগ করেছেন: “এই লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা সরকারের আলোচনার বিষয় …তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি যে সিস্টেমের সংস্কারের প্রয়োজন। ”মিনিস্ট্রিয়াল কোডের অধীনে, প্রাক্তন মন্ত্রীদের নিশ্চিত করতে হবে যে অ্যাকোবা পরামর্শ না দেয়া পর্যন্ত কোনও নতুন নিয়োগ ঘোষণা করা হবে না। মেইল জনসনকে একজন কলামিস্ট হিসাবে চাকরি দেবার পর একটি জঘন্য প্রতিবেদনের লেখার জন্য ফের একবার বিতর্কের মুখে পড়েন জনসন। অভিযোগ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কমন্সকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং এমপিদের ভয় দেখানোর অংশ হিসেবে এই কলাম লিখেছেন।শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিজের নতুন ভূমিকার কথা জানান জনসন। পাঠকদের আকৃষ্ট করতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আপনি বরিসকে পছন্দ করুন কিংবা না করুন—আমার আপনাকে পড়তে হবে। বিশ্ব সম্পর্কে আমি ঠিক কী ভাবি তা আপনাকে জানতে হবে।’ তার প্রথম কলামটি ছিল তার ওজন কমাতে সাহায্য করার জন্য একটি ওষুধের ব্যবহার নিয়ে। জনসনকে পূর্বে টেলিগ্রাফে লেখার জন্য ২ লক্ষ ৭৫ হাজার পাউনড বেতন পেতেন। থেরেসা মের পররাষ্ট্র সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর টেলিগ্রাফে যোগদানের আগে কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন না নেয়ার জন্য এর আগেও তিনি অ্যাকোবার সমালোচনার মুখে পড়েন।সূত্র : দা গার্ডিয়ান

Advertisement