ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বিএনপি নেতাদের সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, তিন বার রাজপথ থেকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। দলের কেউ খোঁজ নেয়নি। এবার শুধু রিজভী (বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী) ফোন করেছে, খোঁজ নিয়েছে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভোলার ঘটনার দ্রুত বিচার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
আবরার হত্যার প্রতিবাদে কার্যকর কর্মসূচি না দেয়ায় বিএনপির সমালোচনা করে হাফিজ বলেন, বিএনপি ওপর দায়িত্ব ছিলো আবরার হত্যার প্রতিবাদ করার। কিন্তু দু:খের বিষয় বিএনপি সেই্ প্রতিবাদ করতে পারে নাই।
দলের নেতাদের মধ্যে সহমর্মিতার অভাব আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিন বার জেলে গিয়েছি। প্রত্যেকবার রাজপথ থেকে গিয়েছে, আমাবে বাসার থেকে ধরে নাই কখনো। দলের একটা লোক ফোন করে খবর নেয়নি। এবার একমাত্র রুহুল কবির রিজভী ফোন করে খবর নিয়েছিলো। আমার পরিবারের সে খবর নেয়ার চেষ্টা করেছে। ২৮ বছর এই দল করি। কোনো সহমর্মিতা নাই।
কেন দলের এমন অবস্থা হল-প্রশ্ন রেখে হাফিজ উদ্দিন বলেন, কর্মীরা কত ত্যাগ স্বীকার করছে গ্রামে-গঞ্জে। আমার একটা ছোট উপজেলায় ৪শ’ লোককে রাম-দা দিয়ে কুপিয়েছে। এবারের নির্বাচনেও সময়ে আমি ঘর থেকে বেরোতে পারি নাই। আমি ৬ বারের এমপি, আমার বাবা এমপি ছিল। আমি ঘর থেকে বেরুতে পারি নাই, নিজের ভোট দিতে পারি না। বাংলাদেশকে এই অবস্থায় তারা নিয়ে গেছে।
ব্যাক্তিগত সততার কথা উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, দলের কর্মীরা অনেক সাহসী, কিন্তু নেতারা দুর্বল। নেতাদের কেউ কেউ এত পয়সা বানিয়েছে যে, রাজপথে তাদের গায়ে রোদ লাগাতে ইচ্ছে করে না। আমরা তো টাকা পয়সা বানাই নাই। ৬ বার এমপি হয়েছি আমার তো বাড়ি নাই, বাবার দেয়া বাড়িতে থাকি। আমার বিরুদ্ধে তো কোনো দুর্নীতির মামলা নাই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সরকার অত্যন্ত দুর্বল সরকার। আপনারা মাঠে নামেন, ইনশাল্লাহ সরকার বিদায় হয়ে যাবে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।