ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। আহত হয়েছেন ৮ শতাধিক। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ভূমিকম্পের পর ৪৭০টি আফটার শকে কেঁপে ওঠে তুরস্কের বিভিন্ন এলাকা। ধসে পড়েছে বহু ভবন। এজিয়ান সাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পে সৃষ্টি হয়েছে উচু ঢেউয়ের যাতে ভেসে গেছে তুর্কি উপকূলীয় অঞ্চল। কর্তৃপক্ষ একে বলছে ‘মিনি সুনামি’। এর প্রভাব পড়েছে গ্রিসেও।
সেখানেও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
শুক্রবারের ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের ইজমির শহরে ভীতসন্ত্রন্ত মানুষজনকে দৌড়াতে দেখা যায়। রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেছে আশপাশের এলাকা। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রেসিডেন্সি (আফাদ) জানিয়েছে, পানিতে ডুবেই সেখানে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৭ জন। আহত হয়েছেন ৭০৯ জন। অন্যদিকে গ্রিসের সামোস দ্বীপে মারা গেছে একটি বালক ও বালিকা। তারা একটি দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়।
তবে ভয়াবহ রকমের ক্ষতি হয়েছে তুরস্কের। ইজমির শহরে ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ সেখানে ২ হাজার মানুষের বসবাসের উপযোগী তাঁবু স্থাপন করেছে। এই ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ছবিতে দেখা গেছে ইজমিরে রাস্তার ওপর ভেঙ্গে পড়েছে ভবনগুলো। এর নিচে চাপা পড়েছে অনেক গাড়ি। চাপা পড়াদের উদ্ধার করতে অভিযান চলছে সেখানে। এখন পর্যন্ত কয়েক ডজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
যতগুলো আফটার শক হয়েছে তার মধ্যে ৩৫টি ছিল ৪ মাত্রার থেকেও বেশি। এখনো ৮টি ভবনের নিচে মানুষ আটকা পড়ে আছে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবস্থা গুরুতর এমন রয়েছেন আরো ৮ জন।