দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা

জুয়েল রাজ  

হবিগঞ্জে প্রেসক্লাব এর মামলায় পত্রিকার প্রকাশক কাম  সম্পাদকের গ্রেফতারের সংবাদে সারা দেশের সাংবাদিকরাই ক্ষুব্ধ এবং অবাক হয়েছেন। সারা দেশের সাংবাদিকরা যখন এই আইনের বিরোধীতা করছে সেখানে একজন সাংবাদিক নিজে অন্য সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে  মামলা দেয়া নিয়ে অবাক হয়েছেন।

মো. আবু জাহির এমপি

আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই প্রেসক্লাবের এই অভ্যাস বেশ পুরাতন।  ২০১৬ সালের  নভেম্বর মাসে একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করতে চাই।  অনেকের স্মৃতিতেই হয়তোবা আছে।  হবিগঞ্জের  দৈনিক প্রভাকর পত্রিকার শোয়েব চৌধুরী নামে এক সম্পাদকের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদরের এম পি আবু জাহিরের মানহানীর অপরাধে ৫৭ ধারায় মামলা করেছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তৎকালীন সভাপতি হারুনুর রশীদ চৌধুরী। শোয়েব চৌধুরীর অপরাধ ছিল তাঁর  সম্পাদনায় প্রকাশিত প্রভাকর পত্রিকায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও চুনারুঘাট-মাধবপুর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর ছবি দিয়ে ‘হবিগঞ্জসহ ৬৫ অযোগ্য সাংসদকে বাদ দিবেন হাসিনা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ ।

পরবর্তীতে সংবাদটি প্রভাকর পত্রিকার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ভদ্রলোক দীর্ঘদিন জেল খাটেন। প্রথম আলোর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান নিয়ন দীর্ঘদিন এই মামলার আসামী হয়ে ছিলেন পলাতক। মামলাটি যতদূর জানি হাইকোর্টে এখনো বিচারাধীন আছে।

সুশান্ত দাশ গুপ্ত

একই পন্থায় এইবার গলা চেপে ধরা হয়েছে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তের বিরুদ্ধে।

সংঘবদ্ধ ভাবে  অপরাধ যাকে বলে। ডিসকোভারীতে মাঝে মাঝে দৃশ্যগুলো দেখা যায় বৃহদাকার বনগরু কিংবা হাতিকে তুলনায় ক্ষুদ্র হায়নারা কি ভাবে দলবেধে সংঘবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করে তাদের শিকারে পরিণত করে।  হবিগঞ্জের এই মামলার বিবরণ ও আদ্যোপান্ত দেখে শুনে যা মনে হলো পুরোটাই  সেই শিকার ধরার মতোই সংঘবদ্ধ আক্রমণ।

আমার হবিগঞ্জের প্রকাশনা বন্ধের  অভিযোগের তালিকায় বেশ কয়েকটা পয়েন্ট খুবই আকর্ষনীয়। প্রথমত প্রকাশক বা সম্পাদক একজন অসাংবাদিক। এবং তার অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবং  কিভাবে পাঠকের হাতে বিনামূল্যে সেই পত্রিকা তুলে দেন এই প্রশ্ন ও তুলেছেন।

সরকারী নিয়ম নীতি মেনে যদি কোন লোক পত্রিকা প্রকাশ করে সেই ক্ষেত্রে তার সাংবাদিকতার সার্টিফিকেট বাংলাদেশে কে দিবে? মফস্বল সাংবাদিকতায় কয়জন সাংবাদিক পড়লেখা করে সাংবাদিক হয়েছেন। বাংলাদেশের কয়জন বিখ্যাত সাংবাদিক, সাংবাদিকতার উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সাংবাদিক হয়েছেন? সবাই হাতে কলমে শিখে শিখেই  সাংবাদিক হয়েছেন। আর পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রণালয় তো অনুমোদনের মাধ্যমে তাকে সার্টিফিকেট দিয়েই দিয়েছে।  নাকী স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুমতি নিতে হয়?

এবার আসুন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক কারা? ২০ বছর আগে স্বদেশ বার্তার সম্পাদক ছিলেন  ইসমাইল  হোসেন। যিনি  প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি।  এবং এই মামলার স্বাক্ষী ও বটে।  মাননীয় সংসদ সদস্য যার মানহানীর অভিযোগে মামলা তিনি  দৈনিক দেশ জমিন পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি। এবং এই পত্রিকা  বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে  প্রকাশনা বন্ধ।

আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার প্রকাশকের কালো টাকার উৎস নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন, সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করুন। যা সাংবাদিকের কাজ। আপনি কলম রেখে হাতে বন্ধুক নিয়ে আইন প্রয়োগ করতে নেমে গেলেন!

সংসদ সদস্য  রোটারেক্ট ক্লাবের আজীবন সদস্য তিনি। কয়েকশত প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও  তিনি। মহান জাতীয় সংসদের সদস্য তিনি, যেখানে  কারো মানহানী  হইলো না। মানহানী হইলো প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহেবের!  আমি জানি না কয়েকদিন পর মহান জাতীয় সংসদের স্পীকার বাদি হয়ে আবার  মানহানীর মামলা করেন কী না!

আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার  প্রকাশের অনুমতি বা ডিক্লারেশন বাতিলের আবেদন করেছে  হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাব।  জেলা প্রশাসক বরাবরে সেই দাবীতে সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন ও করা হয়েছে।  সেখানে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তার সবগুলোই উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

কারো অর্থনৈতিক দূর্নীতি প্রমাণ বা অভিযোগ থাকলে পত্রিকাগুলো সংবাদ করবে,  দেশের আইনপ্রয়োগকারী  সংস্থা গুলো তদন্ত করবে। নাকী প্রেসক্লাব গুলো আইন হাতে তুলে নিবে জানি না।

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব একমাত্র প্রেসক্লাব যেখানে স্থানীয় এম পি সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে দেন।

কে সভাপতি হবে আর কে সাধারণ সম্পাদক হবে। সাধারণ সদস্যদের ভোটের কোন প্রয়োজন পরে না সেখানে।তো সেই প্রেসক্লাবতো  গৃহপালিতই  হবে  সেটাই স্বাভাবিক।

যুগান্তর, সমকাল,  প্রথম আলো পত্রিকা গুলো  এম পি মহোদয়ের দুর্নীতি  নিয়ে প্রচুর সংবাদ করেছে।  বিগত ২০১৬ সাল থেকে।  প্রেস ক্লাবের সাহস হয়নি জাতীয় পত্রিকা গুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরে থাক, নূন্যতম প্রতিবাদ করার ও যোগ্যতা নেই তাদের। এম পি সাহেবের ইজ্জতের ও কোন দাম সেখানে নেই!

সুশান্ত দাশ গুপ্তের বিরুদ্ধে মামলায়, জার্মান ভিত্তিক  সংবাদপ্রতিষ্ঠান ডয়েচে ভেলে কে দেয়া সাক্ষাতকারের অংশ বিশেষ –

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আবু জাহির বলেন, ‘‘সুশান্ত একজন কথিত সম্পাদক৷ সে আসলে এনজিও করে৷ সে তার পত্রিকায় লিখেছে, যুদ্ধারপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক হবিগঞ্জের লিয়াকত আলীকে আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছি৷ আরো লিখেছে, আমি লাখাই ইউনিয়নের চেয়াম্যান মলাইকেও আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছি৷ যা সত্য নয়৷ আমি লিয়াকতকে আওয়ামী লীগ থেকে অনেক আগেই বহিস্কার করেছি৷ এছাড়া সে (সুশান্ত) একজন নারী নির্যাতকারীর সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে৷

তার মানে এনজিও করলে কেউ সংবাদপত্র করতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য লিয়াকতকে তিনি অনেক আগেই দল থেকে বহিস্কার করেছেন। তারমানে লিয়াকত আওয়ামী লীগে ছিল এইটা সত্য। কিন্তু মালাইকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করান নি সেটি মিথ্যা,  কিন্তু ত্রাণ চুরির অপরাধে তিনি দলীয় কোন ব্যবস্থা নেন নাই। এইটা ও সত্য।

নারী নির্যাতন কারী যিনি তিনি ও এম পি সাহেবের কমিটির সদস্য উনি কমিটির সদস্য থাকতে পারবে সমস্যা নেই।  কিন্তু এম পি সাহেবের সাথে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকলে ও আপত্তি নেই। কিন্তু পত্রিকায় ছাপলে উনার ১০০ কোটি টাকার ইজ্জতের হানী  হয়ে যায়!

এখন বাসা দখলকারী , গাড়ি চোর , নারী নির্যাতন কারী সবার সাথেই যদি আপনার ছবি থাকে এবং সেই ছবি পত্রিকায় ছাপলে আপনার ইজ্জত চলে যায়। আপনি ছবি উঠা হারাম বলে কারো সাথে ছবি না উঠলেই পারেন। রাস্তা তো খোলা আছে। তখন আপনার ইজ্জত নিয়ে কেউ চিনিমিনি খেলার সুযোগ পায় না।

এই সাক্ষাতকারেই লেখা হয়েছে

সংসদ সদস্য নিজেও ‘দৈনিক দেশ জমিন’ নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য৷ তিনি বলেন, ‘‘হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের উন্নয়নে আমার অনেক অবদান আছে৷ আমি হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের ঐক্যের প্রতীক৷ আর সুশান্ত হিন্দু মানুষ৷ আওয়ামী লীগ করে বলে পরিচয় দেয়৷ আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে৷

কথাগুলো খুব পরিস্কার। সুশান্ত হিন্দু মানুষ।আওয়ামী লীগ বলে পরিচয় দেয়। তার মানে হবিগঞ্জে কোন হিন্দু মানুষ আওয়ামী লীগ বলে পরিচয় দিতে পারবে না! এবং এম পি মহোদয়ের কোন প্রতিপক্ষের রাজনীতি করার কোন অধিকার সেখানে নেই। যার জন্য হয়তো তিনি নিজের পরিবারের লোকজনদের দিয়ে ঢেলে সাজিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অঙ্গসংগঠন সহ সব।

নিজে সাংবাদিক হয়েও আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার কারণ জানতে চাইলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির বলেন, ‘‘সংসদ সদস্যও একটি পত্রিকার সম্পাদক এবং তিনি প্রেসক্লাবের একজন আজীবন সদস্য৷ ওই পত্রিকা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে৷ শুধু তাই নয় হবিগঞ্জের সাংবাদিকদেরও সে বারবার দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করেছে৷ ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে৷

প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাহেব যেহতু, ঐক্যের প্রতীক হিসাবে  নির্বাচন ছাড়া সংসদ সদস্যের আদেশ বলে ক্ষমতা লাভ করেন তখন হয়তো নৈতিক দায়িত্ব হিসাবেই  কলম ছেড়ে আইন হাতে তুলে নিয়েছেন!

বাংলাদেশের কোন  টেলিভিশন বা সংবাদপত্রের অনুসন্ধানী টিম যদি হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য  হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ব্যাংক হিসাব মাসিক আয় ব্যয় নিয়ে একটু খোঁজ নিতেন তাহলে সুশান্ত দাসের পত্রিকার বিরুদ্ধে  এই সংঘবদ্ধ আক্রমণের মূল রহস্য উদঘাটন হয়ে যেত।

প্রেসক্লাবের টিম নিয়ে খেলতে নেমে, একে একে আপনি সাম্প্রদায়িক ট্রামকার্ড খেলতে স্থানীয় হিন্দুদের মাঠে নামালেন। সেইখানে ও ফাউল হয়ে গেল। সাংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যানার নামিয়েছেন। নগ্ন ভাবে আদালতে হস্তক্ষেপ করেছেন, যাতে করে জামিন না হয়। এইভার শেষ শক্তি হিসাবে হয়তো গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগকে মাঠে নামাতে চাইবেন। আপনার পদ এবং ক্ষমতার কারণে হয়তো তা সম্ভব।  কিন্তু হবিগঞ্জের মানুষের ভিতরে যে হাহাকার,  যে অভিশাপ আপনার কর্মকান্ডের উপড়,  আপনি তা  শুনতে পারছেন না। ক্ষমতার দম্ভে আপনি বধির হয়ে আছেন।

 

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব,  বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ললাটে যে কলংক তিলক একে দিয়েছে, দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা ও সুশান্ত দাস গুপ্তের নামে এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোন পথ দেখিনা। হবিগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তী এখন মাননীয় সংসদ সদস্য আবু জাহির। আলোচনা সমালোচনা রাজনীতিতে থাকবেই। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হয়। পেশী শক্তি দিয়ে নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির পতন থেকে সেই শিক্ষা না নিলে ভুল করবেন। বৃক্ষ  ফলের ভারে যেমন নুয়ে পরে, জ্ঞানীরা ও নাকী তেমনী বিনয়ে নুয়ে পরেন।

ক্ষমতা যদি বিনয়ের ভারে নত হয় সেই ক্ষমতা মানুষের জন্য মঙ্গলময় হয়। ক্ষমতার  দম্ভ   দাপট চিরস্থায়ী নয়। হবিগঞ্জের মানুষ আপনাকে নিয়ে গর্বিত হউক। আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে,   মানুষ হিসাবে অসাম্প্রদায়িকতার বাতিঘর হবেন আপনি সেটাই প্রত্যাশা। সাম্প্রদায়িক উক্তি আপনার মুখে মানায় না। আপনার ক্ষমতার  ভয়ে আজকে যারা মুখ বন্ধ করে আছে অথবা আপনাকে নমঃ নমঃ করছে তারাই হয়তো একদিন আপনাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।  রাজনীতিতে আপনার অবস্থান মজবুত করতে,  শহীদ চৌধুরী, শরীফ উল্লাহ, সর্বশেষ আতাউর রহমান সেলিম কে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে কিভাবে পত্রপাঠে বিদায় দিয়েছেন সেই  ইতিহাস হবিগঞ্জের প্রতিটি ধুলোকনা জানে।  রাজনীতিতে সেটাই স্বাভাবিক, নৌকা ডুবেছে আপনি জয়যুক্ত হয়েছেন । আওয়ামী লীগের  প্রতিটা পদে আপনার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের দখলে। যদি ও আপনার ভোট কেন্দ্রে, কয়েক হাজার ভোটের বিপরীতে নৌকা মার্কা ভোট পায় ১৪৫ টি। তাই  দিনে দিনে আপনার দেনাও  বাড়ছে সেটাও স্বাভাবিক।

সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িকতার কবি, বিদ্রোহের কবি নজরুলের জন্মতিথিতে তাঁর  বিখ্যাত  কবিতার শেষ চরণগুলো মনে পড়ছে।

নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!

মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,

উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান!

Advertisement