দেশের প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে সুশাসন বিরাজমান আছে: সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট অফিস :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশে সুশাসন থাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। দিন দিন দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। যখন কোন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন দেশের মানুষ ভালো থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়, প্রবৃদ্ধি বাড়ে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে দেশে সুশাসন বিরাজমান আছে।

শনিবার সকালে সিলেট জেলা পরিষদের হলরুমে জেলা প্রশাসন ও তথ্য কমিশন আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ ও আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম অবহিতকরণ কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বড় বড় মানুষেরা মাঝে মধ্যে বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড নিয়ে হুলস্থুল করেন। কিন্তু বিশ্বে সভ্য দেশ হিসেবে দাবিদার যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এক হাজারের বেশি মানুষ বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ডের শিকার হন। যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এরকম পাঁচ শত ঘটনা ঘটতে পারতো। কিন্তু দেশে সুশাসন থাকায় সারাবছরে হাতেগোনা কয়েকটি ঘটনা ঘটছে। অথচ আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা হয়।

ড. মোমেন বলেন, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে। মানুষ সরকারি কাজ সম্পর্কে অবগত থাকলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। সরকারি কর্মকর্তাদেরও কোন কিছু গোপন করার সুযোগ থাকে না। সঠিক তথ্যই পারে বিভ্রান্তি দূর করতে। সঠিক তথ্য পেলে মানুষ তখল কাল্পনিক কোন অভিযোগ তুলবে না।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে একটি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। এই স্তম্ভকে শক্তিশালী করতে তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে। এই আইনের বাস্তবায়ন ও প্রয়োগই পারে সরকারের উন্নয়নের খবর মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।

২০২০ ও ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে মুজিববর্ষ শুরু হবে। আর ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি পালন করবো। এই দুইবছরে সরকারের উন্নয়নগুলোকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আসলাম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিদুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।

Advertisement