স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ রোববার থেকে খুলছে দোকান ও শপিংমল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী,সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকান ও শপিংমল। তবে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বাইরে যেতে হলে লাগবে বিশেষ মুভমেন্ট পাস। সেক্ষেত্রে দোকান ও শপিংমলে যেতেও পুলিশ থেকে এই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খুলছে। দোকান ও শপিংমল খুলতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন মালিকরা। তবে প্রথমদিনে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমলে ক্রয়-বিক্রয় চলবে বলে আশা করছেন মালিক সমিতির নেতারা।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ‘চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার জন্য যে মুভমেন্ট পাস চালু করা হয়েছে, তা এখনও প্রয়োজন হবে। তবে জরুরি সেবার জন্য যারা জড়িত তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই। এছাড়া অন্য সবার ক্ষেত্রে বাইরে যেতে মুভমেন্ট পাশ দরকার হবে।গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ব্যাপকসংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে নতুন এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে দোকান-শপিংমল বন্ধ রাখাসহ ১৩টি নির্দেশনা দেয় সরকর। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রথম লকডাউন জারি করা হয়। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে ওই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।