ব্রিট বাংলা ডেস্ক : নন্দীগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও বিজেপি কৌশলী পথ নিয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নির্বাচন চলাকালীন নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করে ধর্ণায় বসায় ২ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন অতীতের রিপোর্ট দেখিয়ে দিয়ে বলেছে, নন্দীগ্রামে এবার সামান্য হলেও ভোট বরং বেড়েছে। বিগত নির্বাচনে (২০১৬ সালে) যেখানে ৮৭.১৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল নন্দীগ্রামে, সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৮৮.০১ শতাংশ। তাই বিজেপির ভোটের হার কম পড়ার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- নন্দীগ্রামের ভোটে সকাল থেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘর থেকেই গোটা বিষয়টিতে নজর রাখছিলেন। নানা জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসলেও, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে বয়াল থেকে। বারংবার অভিযোগ জানানো হয় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বয়াল সাত নম্বর বুথে।
দু’ঘণ্টা ওই বুথেই থাকেন তিনি। আর মমতার এই অবস্থানের কারণেই ভোট কম পড়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি।
এমনকি কারচুপির যেসব অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তুলেছে, সেসবও মানতে নারাজ রাজ্যের দুই বিশেষ নির্বাচন পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো তাদের রিপোর্টেও তাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাদের মতে, নন্দীগ্রামে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্ক্রুটিনির পর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রাম–সহ দ্বিতীয় দফার কোন আসনেই পুনর্নির্বাচন হবে না।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে দুই পর্যবেক্ষক লিখেছেন, ওই এলাকায় ভোট পরিচালনায় বড় কোন সমস্যা হয়নি। বিজেপির অভিযোগ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে বিবেক দুবের চিঠিতে। আসল ম্যাচে কি হবে তা জানা যাবে ২ রা মে। তবে দু’ঘণ্টার টি–টোয়েন্টিতে জিতে গেলেন মমতা-ই।