আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্দুকধারীরা দেশটির সোকোতো প্রদেশের একটি মার্কেটে হামলা চালিয়ে সেখানকার গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। প্রাদেশিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় আইনসভার সদস্যদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এরই মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।রবিবার (১০ অক্টোবর) দেশটির সোকোতো প্রদেশের পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ইদ্রিস গোবির জানিয়েছেন, অস্ত্রধারী এই ডাকাতরা মোটরসাইকেলে চেপে এসে ওই এলাকায় প্রবেশ করেছিল। এরপর তারা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতেই সেখানে প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটে।টেলিফোনে রয়টার্সকে তিনি বলেন, অস্ত্রধারী এই ডাকাতরা ছিল সংখ্যায় অনেক এবং তারা কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করে। এছাড়া তারা আরও ৯টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।সোকোতো প্রদেশের প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হুসাইন বোজা ভয়াবহ এই হামলা ও প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি অস্ত্রধারী ডাকাতদের এই হামলার জন্য ওই প্রদেশে যথাযথ নিরাপত্তার ঘাটতিকে দায়ী করেছিলেন।রয়টার্স বলছে, সোকোতো প্রদেশের পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র ইতোমধ্যে আক্রমণের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। যদিও এই হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেননি তিনি।
এর আগে গেল বুধবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা প্রদেশে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন প্রাণ হারান। ভয়াবহ ওই হত্যাকাণ্ডের পর ডাকাতরা এলাকাটির দোকান ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ এই দেশটির উত্তরাঞ্চলে ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও আগে থেকেই অভিযোগ রয়েছে।নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, গেল একযুগ যাবত নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা।