পবিত্র লাইলাতুল কদর বা সৌভাগ্যের রজনী আজ। বরকতময় এই রাতে কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও নফল নামাজ আদায় করে কাটান ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়েছে।এ রাতে প্রথম আসমানে এসে বান্দার ডাকের অপেক্ষায় থাকেন মহান আল্লাহ। বরকতময় এই রাত নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহকে ডাকার মাধ্যমে মুসলমানদের পাপমুক্তির বড় সুযোগ।সাধারণত সাতাশে রমজান শবে কদর পালনের প্রবণতা দেখা গেলেও পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, রমজান মাসের শেষ দশদিনের যেকোনো বিজোড় রাতেই লাইলাতুল কদর। তাই একুশ থেকে ঊনত্রিশ রমজানের প্রতিটি বিজোড় রাতেই বেশি বেশি ইবাদত করার তাগিদ দেয়া হয়।
এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে কদরের গুরুত্ব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছি, যখন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। আসুন, শবে কদরের পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে এ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করি। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। মহান আল্লাহ আমাদের মোনাজাত কবুল করুন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এ রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।’