অনুমোদনহীন রাসায়নিক গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তিনজন কর্মীসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ১৮ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলার ওই গোডাউনে এই আগুনের ঘটনা ঘটনা ঘটে।পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সাথে ভবনের একটি বারান্দার গ্রিল কেটে বাকি বাসিন্দাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশন নামে ওই ভবনটির নিচতলায় এই আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মাহফুজ রিবেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, ভবনটি থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হতাহত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিস বলছে- অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মাহফুজ রিবেন বলেন, পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমারিটোলায় একটি ৬ তলা আবাসিক ভবনের নিচতলায় আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। এরপর আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও ৩টি ইউনিট যুক্ত হয়। এর কিছুক্ষণ পর আরও ৪টি ইউনিট যুক্ত হয়েছে। সর্বমোট ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব ও স্বেচ্ছাসেবীরা।এ দিকে, ইতোমধ্যেই ভোর ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনটির নিচতলায় রাসায়নিক গোডাউনের গোডাউন থাকায় আগুনের তীব্রতা বেড়েছে। ভবনের দোতলা থেকে পাঁচতালা পর্যন্ত লোকজন বসবাস করত। এছাড়া ভবনের ছাদে কিছু লোক আটকা পড়ে। পরে বাড়ির উপরের লোকজনকে উদ্ধারে ল্যাডার ইউনিট যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি ভবনের একটি বারান্দার গ্রিল কেটে আরও কয়েকজন বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।