ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ২০১৮ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তবে খাদ্য আর জীবন অভ্যাসের পরিবর্তন আনলে ৬৫ শতাংশ ক্যান্সার ঝুঁকি প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন ক্যান্সার গবেষক ও চিকিৎসকরা। আজ সকালে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরীতে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সারা বিশ্বে ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে এই সেমিনারে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক হাবিবুল্লা তালুকদার বলেন, ২০০ প্রকারের বেশি ক্যান্সার রয়েছে। ক্যান্সার অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি।
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে।
বদলে যাওয়া জীবন যাপনের কারণে ক্যান্সার বাড়ছে। শারীরিক পরিশ্রম না করা, খাদ্যে কেমিক্যাল ও রং ব্যবহার, অতিরিক্ত উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড, ফাইবার জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। বয়ষ্ক ও শিশুদের মধ্যে স্থুলত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসাকরা মনে করেন, ধূমপান, পরিবেশ দূষণও ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে প্রচুর শাকসবজি, দেশীয় ফল, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার ফলে ক্যান্সার বেড়ে যাচ্ছে। ক্যান্সার গবেষক ও ওয়ার্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি নিজেও ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই মনে করেন, ক্যান্সার মুক্ত বিশ্ব গড়তে একতাবদ্ধ থাকলে এই মরণঘাতি রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য আবদুুস সোবহান গোলাপ বলেন, সরকার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করেছে। এবার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি হবে প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল।