প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এর মধ্য দিয়ে ঢাকায় নিজের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাষ্ট্রদূত হাস।সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের মধ্যেকার ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইতিবাচক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অর্জনগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কী করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করা যায় সেই উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেঃ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “আমাদের মাঝে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা শরনার্থী সহায়তা ও কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।” বৈঠকে, রাষ্ট্রদূত হাস বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে উদারতা এবং বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, “আমাদের আলোচনাকালে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি যে, আমি মনে করি আমাদের সবচেয়ে বেশি যৌথ গৌরবের অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কোভিড-১৯ সঙ্কট একত্রিতভাবে মোকাবেলা করা।” তিনি আরো বলেন, “আমি বাংলাদেশের ৭০ শতাংশেরও বেশি জনসংখ্যাকে টিকা দেয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।বৈঠকে রাষ্ট্রদূত হাস রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদেরকে আশ্রয়দানকারী স্থানীয় বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১লা মার্চ ঢাকায় আসেন মার্কিন দূত পিটার হাস। ১৫ দিনের মাথায় তিনি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। বঙ্গভবনে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় প্রেসিডেন্ট তার পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু, নানা শিডিউল জটিলতাসহ নানা কারণে প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর সরকার প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ হলো মার্কিন দূত পিটার হাসের।