ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: লেখা, সুর ও গায়কী একটা গানকে টেনে নিয়ে যায় মানুষের মনের গভীরে। সঙ্গে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে যন্ত্রানুষঙ্গ। লাইফলাইন হিসেবে কাজ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আমার ক্যারিয়ার শুরুর পর প্রত্যেকটি সেক্টরে পারিশ্রমিক দ্বিগুনের বেশী করেছি। এ ব্যাপারটা নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো কখনো ঘ্যানঘ্যান করেনি। এনালগ থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর বহুমুখী সিস্টেমে গানের পরিবেশ বরবাদ হয়ে গেছে। এভাবেই চলতি সময়ের গান নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। বর্তমানে গান নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ত এ সংগীত তারকা।
তবে সার্বিক পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করেন তিনি। চলতি সময়ের গানের পরিবেশ ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে আসিফ বলেন, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো গানে বিনিয়োগ বন্ধ করে নাটকের পেছনে ছুটছে। ওখানে নাকি অনেক লাভ, হাস্যকর দৌড়ঝাঁপ দেখছি। গানের টাকায় বেড়ে ওঠা প্রযোজকরা ককটেল মানসিকতায় দিগবিদিক ছুটছেন। ভবিষ্যতের লাইট না দেখেই বেঁছে নিয়েছেন নগদ মুনাফার টার্গেটলেস ধান্দা। আসিফ নিজের ব্যস্ততা নিয়ে বলেন, গান করে যাচ্ছি একটার পর একটা। কবির সুমন দা’র কথা-সুরে গান করা চলছে। অন্যদিকে দেশের সুরকারদের সুরেও নিয়মিত গানের রেকর্ডিং চলছে। তবে গানের সার্বিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখছি নাটকের দিকে বেশি মনোযোগী এখন। গানের কপিরাইট নিয়েও চলছে নানা ধরনের আলোচনা ও বিতর্ক। রয়্যালিটিসহ আরো অনেক কিছুই সিস্টেমের মধ্যে নেই। এগুলো সিস্টেমের মধ্যে না আসা পর্যন্ত শিল্পী-গীতিকার-সুরকার ও সংগীত পরিচালকরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাবেন না। মিউজিক ভিডিও করা কমিয়ে দিলেন কেনো? আসিফ বলেন, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও ভিডিও নির্মাতাদের চাপেই মিউজিক ভিডিও করেছি। গত তিন বছরে একের পর এক গান ও ভিডিও করে গেছি। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে আমি অনেকটা থেমে গেছি। আমি আসলে থামতে জানি। এখন থেকে আর অনুরোধের গান করছি না। যেমন গান টিকে থাকবে তেমন কথা-সুরের গানই করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ভিডিও করা কমিয়ে দিয়েছি। অডিওটাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।